
মাঠ নষ্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা, পথে নামলেন খেলোয়াড়রা
রাজনৈতিক সভা হবে খেলার মাঠ নষ্ট করে! হতে দেবেন না খেলোয়াড়রা। মাঠে প্যান্ডল খাটানো হয়েছিল সেই সভার জন্য । খেলোয়াড়রা খেলার মাঠ নষ্টের জন্য আন্দোলন করলেন। মাঠে সভা না করার দাবি জানিয়ে পৌরসভাতে স্মারকলিপি দেওয়া হল।

ধূপগুড়ি ফুটবল ক্লাবের সদস্যরা আজ সোমবার খেলার মাঠে প্যান্ডেল করার বিরোধিতা করেন। তারপর ধূপগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সনকে স্মারকলিপি দিতে যান । তাঁরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন অফিসে। পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পৌরসভায় উপস্থিত ছিলেন না । যার ফলে তাদের হাতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়নি। তা না দিতে পেরে অফিসে ডকেট করে চলে আসেন তাঁরা। মঙ্গলবার ফের পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তাঁরা। দাবি জানাবেন। এমনটাই জানিয়েছেন ফুটবল ক্লাবের সম্পাদক অজিত দে।
রণে নামার চেষ্টা করেছে আবার বিজেপিও। তারাও কোমর বেঁধে স্মারকলিপি দিতে যান পুরসভার চেয়ারপার্সনকে। দাবি একই। ওখানে সভা হতে দেওয়া যাবে না। আসলে ওই সভা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিছুদিন আগে ওই মাঠে সভা বাতিল হয়েছে অমিত শাহের। তো স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ ছিল তাঁদের। রাজনৈতিক বিষয় প্রকট হয়েছে। তাই তাঁরা সভা না করতে দেওয়ার একই দাবিতে এদিন বিজেপির চার কাউন্সিলর যান। কিন্তু তাঁদের ভাগ্য খারাপ। অফিসে না ছিলেন চেয়ারপার্সন , ছিলেন না ভাইস চেয়ারম্যানও। তাঁরাও অফিস কর্মচারীর হাতে সেই স্মারকলিপি জমা দেন। তারপর সেই একই ওই ডকেট করে রিসিভ করে নিয়ে যেতে হয় তাঁদের।
বিজেপির তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে। খেলার মাঠ নষ্ট করার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। লাগাতার আন্দোলন করা হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সভা করার অনুমতি দেওয়ার বিরোধিতায়। বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার ধূপগুড়ি শহরে ওই মিছিল। আশঙ্কায় শহরজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্বাভাবিকভাবে শহরের একমাত্র খেলার মাঠ নষ্ট হয়ে যাওয়ার । সাধারণ মানুষ থেকে ক্রীড়াপ্রেমী সবাই ফুঁসছেন। তাই সবাই আন্দোলনে নেমেছেন।
অনেকটা এমন প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল হাওড়ার ডুমুরজলাকে নিয়ে। সেখানে আবার ঘটনা ছিল অন্য। বড় স্টেডিয়াম তৈরি বন্ধ করতে পথে নামেন মানুষ। দিনের পর দিন আন্দোলন করেন তাঁরা। পুরো সাফল্য না মিললেও একদিকে সাফল্য এসেছে কারণ সেখানে স্টেডিয়াম হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। তাই একটা বড় জয় এসেছে প্রতিবাদীদের।