আবাস যোজনার ঘর পেতে তৃণমূল করতে হবে, নিদান দিয়ে বিতর্কে জেলা সভানেত্রী
পরিষেবা পেতে গেলে আগে দল করতে হবে। প্রকাশ্য সভায় এমনই নিদান দিয়েছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী। আবাস যোজনায় দুর্নীতির মাঝেই জেলা সভানেত্রীর এই নয়া ফরমানে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
পরিষেবা পেতে গেলে আগে দল করতে হবে। প্রকাশ্য সভায় এমনই নিদান দিয়েছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী। আবাস যোজনায় দুর্নীতির মাঝেই জেলা সভানেত্রীর এই নয়া ফরমানে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর নিদানকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি।
রাজ্যজুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিজেপি এই আবাস যোজনার দুর্নীতিকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে হাতিয়ার করতে বদ্ধপরিকর হয়েছে। তৃণমূলের কাছে বিজেপির এই আবাস হাতিয়ারকে ভোঁতা করা যখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন তৃণমূল নেত্রীর এমন আলটপকা মন্তব্যের খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, আবাস যোজনার ঘর পেতে হলে তৃণমূল করতে হবে। সকল সরকারি সুবিধার পাশাপাশি যদি ঘরটাও পেতে হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক ছড়ায়। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ থেকে রাজ্য- সর্বত্রই তৃণমূল ক্ষমতায়।
তাই যারা বিভ্রান্ত হয়ে বিজেপির কথা শুনছেন, তাঁরা শুনে রাখুন সমস্ত পরিষেবার সঙ্গে যদি ঘরটাও পেতে হয় তবে তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে, কোনও বিজেপি এসে আপনাকে ঘর দিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল, ইসবার বিজেপি সরকার। কিন্তু পাহাড়পুরের মানুষ তা শোনেনি। এবারও নিশ্চিয় বিজেপি কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
মহুয়া গোপের এ্ই কথার প্রত্যুত্তরে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূল জনভিত্তি খুইয়ে এখন লোভ দেখিয়ে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই বক্তব্য প্রমাণ করে দিয়েছে, কেন কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছিল। অনেক শর্ত সাপেক্ষে তা পাওয়ার পরও তৃণমূল আবাস যোজনা নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে। আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবেও তৃণমূল একচুল সরেনি তাদের জায়গা থেকে। তৃ-ণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল এই বিবৃতিকে সমর্থন করে না। এমন ধরনের বিববৃতির ফলে তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আবাস যোজনায় বড় দুর্নীতি সামনে এসেছে। এর ছত্রে ছত্রে দুর্নীতি ঢুকে রয়েছে। ফলে এবার আর ছেড়ে কথা বলা হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস যে সমস্ত অযোগ্যদের টাকা দিয়েছে যাদের দোতালা ঘর আছে, বা এই তালিকায় আসার যোগ্য নয়, তাদের সবাইয়ের টাকা ফেরত পাঠানো হবে। কী করে ফেরত পাঠাতে হয়, তা আমার জানা আছে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।