বিজেপি বাংলা ভাগ বা পৃথক রাজ্য চায় না, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে স্পষ্ট করলেন দিলীপ
পাহাড় নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল। তৃণমূল মনে করছে, পাহাড়ে বিজেপি পরিচালিত করছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে।
হঠাৎই জিটিএ চুক্তি প্রত্যাহার করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পাহাড়ে নয়া অবস্থান নিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে এরপর গোর্খাল্যান্ড দাবিতে ফের হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের পথে যেতে পারে তারা। আর এই কাজে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ পাহাড়ের কয়েকটি দলকে বিজেপি ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও তৃণমূলের সেই অভিযোগ স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি কখনইও পৃথক রাজ্য চায় না। পৃথক রাজ্যের ইন্ধনও দেয় না। তাঁর সাফ কথা, কোনো পৃথক রাজ্য হবে না। বাংলা একটাই আছে, একটাই থাকবে। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে মুখ খুলে সটান জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জিটিএ চুক্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পাহাড় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা, গোর্খাল্যান্ড ইস্যু খাঁড়া করে ফের একবার পাহাড় অচল করে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে। পাহাড় নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূলও। তৃণমূল মনে করছে, পাহাড়ে বিজেপি পরিচালিত করছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে।
পাহাড়ের রাজনীতিতে সমর্থন খুইয়ে ফের অশান্তির আশ্রয় নিতে চাইছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-সহ বেশ কিছু দল। আর তার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইন্ধন দিয়ে চলেছে বিজেপি। তা না হলে হঠাৎ করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এমন একটা সিদ্ধান্ত নেবে কেন? কেননা রাজনৈতিক মহল মনে করছে জিটিএ চুক্তি প্রত্যাহারের কোনও প্রভাবই পড়বে না জিটিএ-র উপর। নিছকই অনা্স্থার বাতাবরণ তৈরি করে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনকে তীব্রতর রূপ দিতেই এই পন্থা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রচি পাহাড়ে তিন প্রধান পার্টি ও বেশ কিছু অরাজনৈতিক সংগঠন গোর্খাল্যান্ড দাবিকে সামনে রেখে জোটবদ্ধ হয়েছে। বিমল গুরুং, বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ড এক মঞ্চে এসেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি আবার জিএনএলএফও হাত মিলিয়েছে এই দাবিতে। এছাড়া পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে ২২টি সংস্থা এক হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁদের একটাই দাবি- পৃথক গোর্খাল্যান্ড।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে ফের পাহাড় উত্তাল করার চেষ্টা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সামনেই আবার পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই ইস্যুকে সামনে এনে গোর্খাল্যান্ড আবেগকে অনেকে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর। আর তৃণমূল নেতা গৌতম দেব যখন অভিযোগ করছেন, ২০২৪-এর আগে বিজেপি ইন্ধন দিচ্ছে পাহাড় অশান্ত করতে, তখন দিলীপ ঘোষ সাফ জানালেন, বিজেপি পৃথক রাজ্য চায় না। গোর্খাল্যান্ড দাবিকেও সমর্থন করে না।