দার্জিলিংকে ৫০ শতাংশ বদলে দেবেন ৫ বছরে! মন জয়ে করে নিলেন সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান
এতদিন এক নেতার নির্দেশে চলত পাহাড়। সেই সংস্কৃতির কি বদল ঘটতে চলেছে? তেমনই আভাস মিলল হামরো পার্টির দ্বারা দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়োগে। পাহাড়ে গণতন্ত্র ফেরানোর বার্তা দিল এই চেয়ারম্যান নির্বাচন।
এতদিন এক নেতার নির্দেশে চলত পাহাড়। সেই সংস্কৃতির কি বদল ঘটতে চলেছে? তেমনই আভাস মিলল হামরো পার্টির দ্বারা দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়োগে। পাহাড়ে গণতন্ত্র ফেরানোর বার্তা দিল এই চেয়ারম্যান নির্বাচন। দার্জিলিং পুরসভা পেল নতুন চেয়ারম্যান। সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হলেন রীতেশ পোর্টেল।
অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি মাত্র ৩১ বছর বয়সী রীতেশ পোর্টেলকে বেছে নিল চেয়ারম্যান হিসেবে। দার্জিলিংয়ে এবার মাত্র তিন মাস বয়সী পার্টি জয়ী হলেও প্রোজেক্টেড চেয়ারম্যান অডয় এডওয়ার্ড হেরে যান। ফলে কে হন দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান, তা নিয়ে ধন্দ ছিল। সেই ধন্দের নিবৃত্তি ঘটল রীতেশের মনোনয়নে।
মঙ্গলবার দার্জিলিং পুরসভায় ৩২ জন কাউন্সিলরকে শপথ বাক্য পাঠ করান মহকুমা শাসক। কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নেওয়ার পর চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি মনোনীত হয়ে বলেন, এই পদ আমার একার নয়। এই পদ সবার। আমরা সবাই একসঙ্গে মিল কাজ করব। আগামী পাঁচ বছর দার্জিলিংকে আরও সুন্দর করে তোলার সংকল্প রয়েছে আমাদের। বিশ্বের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য হবে।
এতদিন দার্জিলিং পুরসভা চলেছে কোনও এক নেতার অঙ্গুলিহেলনে। কখনও সুবাস ঘিসিং কখনও বিমল গুরুং পাহাড়ে রাজ চালিয়েছেন। এবার আর কোনও হুইপ নয়, সবার মত নিয়ে দার্জিলিংকে বানাব আমরা। এখানে এবার জনগণের মত গুরুত্ব পাবে বেশি। পাহাড় আর কোনও এক দলরে নিয়ন্ত্রণে চলবে না। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে দার্জিলিংয়ের পুরভোটে, সেইমতোই চলবে পুরসভা, সেইমতোই সেজে উঠবে পাহাড়।
এবার দার্জিলিং পুরসভায় ৩২টির মধ্যে ১৮টি আসনে জেতে হামরো পার্টি। বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা মাত্র তিনটি আসনে জয়ী হয়। গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা জয়ী হয় ৯টি আসনে। আর তৃণমূল জয়ী হয় দুটি আসনে। জয়ী হয় হামরো পার্টি। কিন্তু দোষের মধ্যে হেরে যান হামরো পার্টি সুপ্রিমো অজয় এডওয়ার্ড। তিনি তাঁর জায়গায় পুর চেয়ারম্যান পদে একেবারে তরুণ তুর্কি এক নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এই প্রথম পুরসভায় শুরু হল বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা।
রীতেশ পোর্টেল পুর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়ে বলেছেন, এবার সমস্ত ওয়ার্ডে সমান কাজ হবে। দার্জিলিংকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডেস্টিনেশন তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আগামী ৫ বছরে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পরিবর্তন আনার লক্ষ্যমাত্রা রেখে আমরা কাজ করব। এদিন প্রথম বক্তব্যেই পাহাড়বাসীর মন জয় করে নেন বছর ৩১-এর রীতেশ।