নিশীথ প্রামাণিকের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন, আদালতে আত্মসমর্পণের দিনেই তোপ সেলিমের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সোনা দোকানে চুরির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করার দিনেই এক নয়া বিতর্কের উপস্থাপনা করলেন মহম্মদ সেলিম।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সোনা দোকানে চুরির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করার দিনেই এক নয়া বিতর্কের উপস্থাপনা করলেন মহম্মদ সেলিম। সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তুলে দিলেন অমিত শাহের ডেপুটির নাগরিকত্ব নিয়ে।
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার সিপিএম জেলা কার্যালয়ে সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মহম্মদ সেলিম। সেখানেই নিশীথ প্রামাণিকের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, আজ যিনি বিজেপির সাংসদ এবং কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী, তাঁর নাগরিকত্ব নিয়েই সন্দেহ রয়েছে।
দেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী এ দেশের নাগরিক কি না, তা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। এদিনই ২০০৯ সালের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন নিশীথ প্রামাণিক। তখন তিনি বিজেপি ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে সোনা দোকানে ডাকাতির অভিযোগ ছিল। কিন্তু এ প্রশ্ন তো উঠবেই, আজকে অমিত শাহের ডেপুটি হিসেবে এমন একজনকে মন্ত্রী বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি কি না একজন অভিযুক্ত।
মহম্মদ সেলিম বলেন, আসলে বিজেপি এবং তৃণমূলের দলে এমন সব নেতাদেরই ভিড়, যাদের অপরাধ জগতে স্থান। কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আত্মসমর্পণ করছেন এটা খুব ভালো ছবি নয়। সেটাই এবার ঘটল। আর আদালতে আত্মসমর্পণ যখন হল তাঁর নাগরিকত্বও খতিয়ে দেখা দরকার।
এদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানো নিয়ে। তিনি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে আজ অবধি এমন ঘটনা ঘটেনি। এটা ঘৃন্যতম ঘটনা। প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এটা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়।
এদিন শুধু নিশীথ প্রামাণিক নয়, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহগা নেন। তিনি বলেন, গরু ও কয়লা পাচারের টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকার ভূমিকাও সন্দেহের বাইরে নয়। সেই কারণেই পাসপোর্ট সিজ করে বিদেশে যাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রধান বিচারপতি। তাতেই তৃণমূলের রাগ। আর তার দেরেই এই পোস্টার বলে অভিযোগ সেলিমের।
সেলিম বলেন, আমুদ্র হিমাচল অর্থাৎ আমাদের দেশের পাহাড়-পর্বত নদী-নালা সবই আজ বিপদগ্রস্ত। মুনাফালোভীদের শিকার গোটা দেশ। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ের ভুল পরিকল্পনার দরুন এই প্রাকৃতিক বিপদ ধেয়ে আসছে। চারধামে রাস্তা করার নাম করে বিপদ ডেকে আনছে একটা দল। কোন পরিবেশ প্রেমী বা পরিবেশবিদের কথাকে তারা পাত্তা দিচ্ছে না। যার দরুন আজকে যোশীমঠ, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ- সব বিপদগ্রস্ত হয়েছে।