তৃণমূল-বিজেপির তুমুল সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল কোচবিহারের মাখপালা
তৃণমূল-বিজেপির তুমুল সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাখপালা। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপির বেশ কয়েকজন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবের হাট বুথের তৃণমূল যুব সভাপতি সুজন বিশ্বাসকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের কর্মী সমর্থকরা সুজন বিশ্বাসকে উদ্ধার করতে গেলে লাঠি বোমা বল্লম নিয়ে তৃণমূল সমর্থকদের উপরে হামলা চালায় বিজেপি। ঘটনায় ২ জন তৃণমূল সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আহতদের নাম উদয় রায় ও বিশ্বজিত্ রায়। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় এম.জে.এন. মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনিয়ে পাল্টা বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলেই এই হানাহানি। বর্তমানে চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।
অন্যদিকে, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। ঘটনায় উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। টহল দিচ্ছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, মাখপালায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে তৃণমূল সমর্থকরা একত্রিত হচ্ছিলেন। সেই সময় বিজেপির যুব মোর্চার মণ্ডল সহসভাপতি মনোজ বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী মাখপালা এলাকা থেকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি সুজন বিশ্বাস কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বিজেপি সর্মথকরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি,' 'তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। ওদের দলের মধ্যে মারপিট-হানাহানি লেগেই রয়েছে। বৃহস্পতিবারও ওদের নিজেদের মধ্যেই গন্ডগোল হয়েছে। মিথ্যে বিজেপির নাম জড়ানো হচ্ছে।'
নিরাপদ কোভ্যাক্সিন, করোনারোধী অ্যান্টিবডি তৈরিতেও বড় ভূমিকা! ট্রায়াল রিপোর্টে আশার আলো