টাকার দাবিতে মা-ছাড়া! মালদহে অভুক্ত ২০ দিনের শিশুর মৃত্যুতে অভিযুক্ত এক বৃহন্নলা
টাকার দাবিতে মা-ছাড়া! মালদহে অভুক্ত ২০ দিনের শিশুর মৃত্যুতে অভিযুক্ত এক বৃহন্নলা
শিশুর (Child) জন্মের পরে বাড়িতে হাজির হয়ে যায় বৃহন্নলারা (eunuch)। সেখানে বিভিন্ন অঙ্কের টাকার দাবি থাকে। তা না মেটাতে পারায় হামলারও অভিযোগ উঠেছে। তা এবারের ঘটনা সব কিছুর ঊর্ধ্বে। শিশুর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, টাকার দাবি করে নবজাতককে ৩ ঘন্টা আটকে রাখা হয়। তার জেরেই শিশুর মৃত্যু (Death)। মানিকচক থানার পুলিশ ওই বৃহন্নলাকে আটক করেছে।
১২০০ টাকার দাবিতে ৩ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ
বাড়িতে নতুন অতিথি এসেছে ২৯ অক্টোবর। এখনও একমাস হয়নি। তবে 'নিয়ম মতো' হাজির বৃহন্নলা। ১২০০ টাকা দাবি। শুধু তাই নয়, মায়ের কাছ শিশুকে নিয়ে ৩ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ। কিন্তু তাতেই মর্মান্তিক পরিণতি। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘক্ষণ খেতে না পেয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল মালদহের মানিকচক থানার বাঙালগ্রাম।
তিন সন্তানের জন্ম ২৯ অক্টোবর
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা মাম্পি মাঝি ২৯ অক্টোবর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনটি শিশুর জন্ম দেন। বুধবার বাড়িতে থাকার সময় সেখানে হাজির হয় এক বৃহন্নলা। পরিবারের অভিযোগ, ওই বৃহন্নলা তিনঘন্টা ঘরে শিশুটিকে অটকে রাখেন। পাশাপাশি জোড়ে ঢোল বাজাতে থাকেন। পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে চাইলেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত থাকার পাশাপাশি জোরে ঢোল বাজানোর প্রভাব শিশুটির ওপরে পড়ে বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে তারা মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
৫০০ টাকা দিতে রাজি হয়েছিল পরিবার
মাঝি পরিবারের অভিযোগ, বৃহন্নলা ১২০০ টাকা চাইলে তাঁরা প্রথমে ৩০০ টাকা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু নেয়নি ওই বৃহন্নলা। পরে ৫০০ টাকা পর্যন্ত তাঁরা দিতে চেয়েছিলেন। রাজি না হয়ে শিশুটিকে মায়ের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল ওই বৃহন্নলা। খবর পাওয়ার পরেই বাড়িতে যায় মানিকতলা থানার পুলিশ।
সাহায্যে নেমেছিলেন এক আশা কর্মীও
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে তাঁরা স্থানীয় এক আশা কর্মীকে বিষয়টি নিয়ে জানান। সেই আশা কর্মী ওই বহন্নলাকে অনুরোধ করেন, শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু তা না করে আশা কর্মীকেও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু মৃত্যুর প্রকৃত কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।