প্রার্থীপদ ঘোষণা হতেই উত্তরবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের অসন্তোষ
প্রার্থী ঘোষনা হতেই ক্ষোভ যেন আছড়ে পড়ছে নানা দিকে। রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় চোখে পড়ল পদ্ম কর্মীদের তুমুল বিক্ষোভ কর্মসূচি। কোথাও পার্টি অফিসে আগুন, ভাঙচুর, কোথাও আবার রাস্তা অবরোধ। মুর্শিদাবাদ, আসানসোল, বর্ধমান, মালদা, নদিয়ার পাশাপাশি ব্যাপক উত্তেজনা দেখা যায় উত্তরবঙ্গেও।
বৃহস্পতিবার ১৪৮টি কেন্দ্রের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। প্রার্থী হয়েছেন মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, রথীন চক্রবর্তী, জগন্নাথ সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, অসীম সরকার সহ পার্নো মিত্র, অগ্নিমিত্রা পাল। ৪ দফার মোট ১৪৮ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার পরই বিজেপিতে দেখা গেল ব্যাপক অসন্তোষ।
জলপাইগুড়িতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিজেপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দলেরই একাংশ। জলপাইগুড়ির সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নির্বাচিত হন আইনজীবী সৌজিত সিংহ। প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির নেতা কর্মীরা। বিজেপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন তারা।
অভিযোগ, পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রার্থী না করে নতুন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা এলাকা। পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা কানন রায় অভিযোগ করে বলেন, 'পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রার্থী না করে নতুন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এমনটা কিছুতেই মেনে নেব না আমরা।'
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আগুন নেভাতে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। যদিও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন আয়ত্বে আনার চেষ্টা করেন।
পাশাপাশি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ মালদা জেলা বিজেপির অন্দরে। হরিশ্চন্দ্রপুর পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাল কর্মীরা। মতিউর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবেন না জেলা বিজেপির কেউই। আগামী ২৭ শে মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির ক্ষেত্রে।