মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে বলেছিলেন স্ত্রী, কথা না শুনেই বিজেপির মিছিলে যান উলেন, আর ফেরা হল না
মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে বলেছিলেন স্ত্রী, কথা না শুনেই বিজেপির মিছিলে যান উলেন, আর ফেরা হল না
মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে বলেছিলেন স্ত্রী। সেকথা না শুনেই বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়েছিলেন উলেন রায়। আর ফেরা হয়নি তাঁর। এখনও বাড়িতে পৌঁছয়নি তাঁর নিথর দেহ। লাশকাটা ঘরে পড়ে রয়েছে উলেন রায়ের দেহ। আদালতের নির্দেশে আবারও একবার কাটাছেড়া হবে তাঁর লাশ। সেদিন স্ত্রীর কথা শুনলে হয়তো বেঘোরে প্রাণটা যেত না।
স্ত্রীর কথা না শুনেই বিজেপির মিছিলে
মেয়েকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে যেতে বলেছিলেন স্ত্রী। কথা শোনেননি উলেন রায়। বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে সামিল হয়েছিলেন তিনি। আর ফেরা হয়নি বাড়ি। শট গানের বুল দেহ ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে তাঁর। হাসপাতালেই প্রাণ হারান গজোলডোবার বাসিন্দা উলেন রায়। স্ত্রীর কথা শুনলে হয় তো মেয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে যেতে। আর তিনিও বেঁচে থাকতেন।
মৃত্যু নিয়ে তরজা
বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। পুলিসের সঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডারা মিশে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে পুলিসের গুলি চালানোর তথ্য গোপন করতে চাইছে সরকার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কারচুপি করার অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষরা।
দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ
জলপাইগুড়ি আদালতের নির্দেশে ফের ময়নাতদন্ত হবে বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। পুরো ময়নাতদন্তের ভিডিও গ্রাফি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে মুকুল রায় সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছেব পুলিস যদি গুলি না চালিয়ে থাকে তাহলে কেন রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে। কোন তথ্য গোপন করতে চাইছে মমতা সরকার। পুলিস তৃণমূল কর্মীর মতো আচরণ করেছে বলে গতকালই অভিযোগ করেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
তৃণমূেলর পাল্টা জবাব
বিজেপি শট গান নিয়ে মিছিলে সামিল হয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। নিজেেদর কর্মীকে মেরে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পুলিসকে গুলি চালানোর প্ররোচনা দিতেই শটগান নিয়ে এসেছিল বিজেপি কর্মীরা। বাইরে থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতি নিয়ে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। পুলিস যথেষ্ট ধৈর্য দেখিয়েছে। বিজেপির প্ররোচনায় পা দেয়নি বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
বীরভূমে সরকারি পদ ছাড়লেন অনুব্রত অনুগামী প্রভাবশালী নেতা! জল্পনা তুঙ্গে