বিজেপি সংখ্যালঘুদের মন ছুঁতে চাইছে, আইএসএফের আন্দোলনকে সমর্থন দিলীপের
কারও ওপর যদি জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে তার প্রতিবাদ করবেই। প্রতিবাদ করাটাই তার গণতান্ত্রিক অধিকার।
বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে অবস্থান বদল করতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদী সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছিলেন। সেইমতোই সংখ্যালঘুদের মন ছুঁতে এবার আইএসএফের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ আইএসএফ-এর আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ওরা গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য আন্দোলন করছে। এ রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশটাই শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের জন্য কোনো জায়গা নেই। তাদের যে আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে সেটাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন বলেন, এই সরকারের আমলে গণতন্ত্র শেষ হয়ে যেতে বসেছে। কারও বক্তব্য রাখার কোনো অধিকার নেই। প্রোগ্রাম করার অধিকার নেই। কারও ওপর যদি জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে তার প্রতিবাদ করবেই। প্রতিবাদ করাটাই তার গণতান্ত্রিক অধিকার।
আইএসএফের পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, অবশ্যই আন্দোলন করবে। আইএসএফ তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। এটা তাদের অধিকার। শুধু দিলীপ ঘোষই নন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আইএসএফের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। অর্থাৎ বিজেপি যে অবস্থান বদল করেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তা স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের কাছে যেতে হবে। ভোটের আশা না করেই যেতে হবে। তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে আমরা সংখ্যালঘু বিরোধী নই। এ জন্য প্রত্যেকের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে জনসংযোগের বার্তা দিনে প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গ বিজেপিও বুঝেছে বাংলায় তৃণমূলকে হারাতে গেলে সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে হবে। সমস্ত সংখ্যালঘু ভোট যদি তৃণমূলের দিকে যায়, তাহলে বিজেপির পক্ষে জেতা দুষ্কর হয়ে যাবে। তাই এখন থেকে সংখ্যালঘু মন কী বাত শুনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ এদিন তেমনভাবেই সংখ্যলঘুদের আন্দোলনের সমর্থনে বক্তব্য পেশ করলেন।
এদিন রাজ্যপাল ইস্যুতেও তিনি মুখে খোলেন। তিনি বলেন, প্রশ্ন তুলতেই পারেন। যখন রাজ্যপালের মতো গরিমাময় পদে এই ধরনের কাজ হয়, তখন প্রশ্ন উঠে। কিন্তু আমরা আশা করব রাজ্যপাল যে সাংবিধানিক পদ এবং এই পদে যিনি আছেন, সেই আনন্দ বোস একজন খুব যোগ্য এফিসিয়েন্ট ব্যক্তি। তার অনেক অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলার স্বার্থে কাজ করবেন, এটাই আমরা চাই।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, এখনকার রাজনীতি খুব স্পর্শকাতর। এখানে যদি ভেবেচিন্তে কাজ না করেন, তাহলে এ ধরনের প্রশ্ন বারবার উঠবে। আর যদি ভাবনাচিন্তা করে কাজ করেন, তাহলে এ ধরনের প্রশ্ন উঠবে না। শুভেন্দু এবং হিরণের একই ফ্রেমে ছবি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, দুজনেই তো আমাদের এমএলএ। তো একই ফ্রেমেই থো থাকবে।