বিজেপিতে অসন্তোষ! শিলিগুড়িতে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টারে ভাঙন জল্পনা তুঙ্গে
বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। গণইস্তফা চলছে জেলায় জেলায়। তারপর পোস্টার রাজনীতিও এখন বেশ জাঁকিয়ে বসেছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। জলপাইগুড়িতে সম্প্রতি গণ ইস্তফা দেন নেতা-কর্মীরা।
বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। গণইস্তফা চলছে জেলায় জেলায়। তারপর পোস্টার রাজনীতিও এখন বেশ জাঁকিয়ে বসেছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। জলপাইগুড়িতে সম্প্রতি গণ ইস্তফা দেন নেতা-কর্মীরা। এবার তার অদূরে শিলিগুড়িতে স্বয়ং জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল। বিজেপির গোষ্ঠীদ্ববন্দ্ব প্রকট করে দিল শিলিগুড়ির বুকে এই পোস্টার। পোস্টারে লেখা- 'অপদার্থ জেলা সভাপতি'।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের আমলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে। একুশের নির্বাচনের পর বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। কিন্তু একইসঙ্গে জেলায় জেলায় তাঁদের দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে। দলে ভাঙ তো লেগেই রয়েছে। শীর্ষস্তর থেকে ব্লকস্তর ও আঞ্চলিক স্তর পর্যন্ত ভাঙন চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে গণইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শুভেন্দু-গড় নন্দীগ্রামেও ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতারা। তাঁদের দাবি না মানলে তাঁরা চরম সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। এবার শিলিগুড়িতে পোস্টার পড়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আনন্দময় বর্মনের নামে।
বিজেপি পার্টি অফিসের সামনেই জেলা সভপাতি তথা বিধায়কের বিরুদ্ধে এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। শিলিগুড়ি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সমনে চলে এসেছে এই পোস্টারের ফলে। বাংলায় বিজেপির সংগঠনের দৈন্যদশা প্রকট হয়ে উঠেছে। বিজেপি ছেড়ে একের পর এক নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি সাংসদ অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। বিজেপি এরপর দলে ভাঙন রুখতে তৎপর হলেও ভাঙন থামার লক্ষণ চোখে পড়ছে না।
শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তথা মাটিগাড়া নকশালবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক আনন্দময় বর্মনের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে ভেনাস মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে- বিজেপি জেলা সভাপতির একনায়কতন্ত্র আমরা মানছি না। মানব না। সেই পোস্টারের নীচে লেখা- এই নোংরা রাজনীচতি মানছি না। দুর্নীতিগ্রস্ত অপদার্থ জেলা সভাপতি আনন্দময় বর্মন হটাও, শিলিগুড়ি বিজেপিকে বাঁচাও। এই পোস্টার নজরে আসতেই শুরু হয় চর্চা।
শিলিগুড়ি বিজেপির একাংশের দাবি, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকট হয়ে গিয়েছে। এই জেলা সভাপতিকে আর কেউ চাইছেন না। যদিও বিজেপির একাংশের তরফে জানানো হয়েছে, এই পোস্টার বিজেপির তরফে দেওয়া হয়নি। এসব তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। সম্প্রতি অর্জুন-গড়েও বিজেপির জেলা সভাপতিকে নিয়ে পোস্টার পড়ে। তাঁকে অর্জুনের এজেন্ট বলে পোস্টারে দাবি করা হয়। তাও তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি করা হয়।