রণেভঙ্গ! জিটিএ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলায় গরহাজির বিজেপি ও জিএনএলএফ
জিটিএ নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে অনশনে বসেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। দিন কয়েক পরেই তিনি অনশন শিকেয় তুলে প্রার্থী দিয়েছিলেন নির্বাচনে।
জিটিএ নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে অনশনে বসেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। দিন কয়েক পরেই তিনি অনশন শিকেয় তুলে প্রার্থী দিয়েছিলেন নির্বাচনে। আর বিজেপি এবং পাহাড়ে তাঁদের জোটসঙ্গী জিএনএলএফ হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন জিটিএ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে, তাঁরাও এবার রণেভঙ্গ দিলেন। ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচনের আগে অদ্ভুত সমাপতন ভোট-বিরোধীদের।
পাহাড়ে ১০ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে। নির্বাচনের আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে গিয়ে সর্বদল বৈঠক করে এসেছিলেন। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যো়েপাধ্যায় জানিয়েছিলেন পাহাড়ের ভোট তিনি তাড়াতাড়ি করতে চান। শুধু জিটিএ নয়, পাহাড়েকর পঞ্চায়েত ও বাকি পুরসভা ভোটগুলি করতেও তিনি আগ্রহী। একইসঙ্গে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েচিলেন দু-মাসের মধ্যেই তিনি ভোট করতে চান।
সেইমতো মাস খানেক পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিনি ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেন। আগামী ২৬ জুন জিডিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। আর ২৯ জুন হবে ভোট গণনা। এরপর ভোটের বিরোধিতা করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং অনশন করেন, বিজেপি তার সঙ্গী জিএনএলএফকে নিয়ে ছোটেন আদালতে। সেই মামলার শুনানি ছিল এদিন। ভোটের পাঁছদিন আগে শুনানিতে অনুপস্থিত ছিল মামলকারী বিজেপি ও গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জিএনএলএফ।
হাইকোর্টে মামলাকারীরা আবেদন করেছিলেন, এই মামলার রায় বের না হওয়া পর্যন্ত যেন ভোটের ফল প্রকাশ করা না হয়। মামলার আবেদনে বলা হয়, বাম আমলে সংশোধন করা হয়েছিল সংবিধান। সংবিধান সংশোধন করে গঠন করা হয়েছিল গোর্খা হিল কাউন্সিল। তারপর ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার গঠন করার পর তৃণমূল পাহাড়ে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তৈরি করা হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী। তাই জিটিএ নির্বাচন হলেও মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভোটের ফল ঘোষণা স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে। কিন্তু ভোটের পাঁচদিন আগে এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীই অনুপস্থিত থাকে। শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না। আপাতত এই মামলা এখন ঝুলেই থাকল হাইকোর্টে।
রাজ্যে পুরসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই পাহাড়ে নির্বাচন করার ব্যাপারে উৎসাহী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই স্বরাষ্ট্র দফকতরের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়। সেইমতো নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। পাহাড়ে নির্বাচনে এবার সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হচ্ছে সব পক্ষ। শেষমেশ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও অনশন ভেঙে নির্বাচনে লড়ছে। তৃণমূলও লড়ছে ১০ আসনে।
রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে এবার আদিবাসী মুখ! দ্রৌপদী মুর্মু'র নাম ঘোষণা বিজেপি'র