নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেও মনোনয়ন গুরুংয়ের দলের, পাহাড়ে নয়া মোড়
নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেও মনোনয়ন গুরুংয়ের দলের, পাহাড়ে নয়া মোড়
জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে আমরণ অনশনে বসেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। কিন্তু সে অর্থে সাড়া পাননি তিনি। পাহাড়ের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলন। সেই পর্যন্ত ঠিকই ছিল, কিন্তু নির্বাচনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামার পর ফের ভোলবদলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা মনোনয়ন জমা দিলেন। তাঁদের প্রার্থীপদে এই মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বিষয়টিতে প্রশ্ন উঠে পড়েছে গুরুংয়ের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে।
বিরোধীদের ওয়াকওভার রুখতে নির্দল গুরুংরা
আসন্ন জিটিএ নির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্টা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন। জিটিএ নির্বাচনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অংশগ্রহণ না থাকলেও, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিরোধীদের ওয়াকওভার রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দল হিসেবে মনোনয়ন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জিটিএ নির্বাচনে নির্দল হিসেবে অংশগ্রহণের পর তরজা শুরু হয়েছে তাদের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে। প্রথমে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল তারা। এবার নির্দল হিসেবে মনোনয়নের পাশাপাশি জিটিএ ভোট পিছনোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পাহাড় ইস্যুতে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন নেমেছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেখান থেকে সরে এসে তারা এবার নির্বাচনে সম্মুখ সমরে।
ওয়াক ওভারের তত্ত্ব ধোপে টেকে না পাহাড় রাজনীতিতে
দার্জিলিংয়ে জিটিএ ভোটের আগে সরগরম পাহাড় রাজনীতি। জিটিএ-র সবকটি আসনেই অর্থাৎ ৪৫টি আসনেই নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কেন তাঁরা নির্বাচনের বিরোধিতা করে আবার মনোনয়ন পেশ করল? মনোনয়ন পেশের জন্য যে তারা যুক্তি দিচ্ছে ওয়াক ওভারের, তাও ধোপে টেকে না। কারণ এখন পাহাড়ে মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি এবং অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
পাহাড়বাসীর সমর্থন আদায় করতে না পেরে
কোনওমতেই বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এখন পাহাড়ে প্রবল প্রতাপশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। গুরুংয়ের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বলেই তিনি জিটিএ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেখানেও পাহাড়বাসীর সমর্থন আদায় করতে না পেরে আন্দোলনে রণেভঙ্গ দেয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। এখন আবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নির্দল হয়ে শামিল হল জিটিএ নির্বাচনে।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নতুন এক চাল
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কার্শিয়াং মহকুমার সহ সম্পাদক জিতেন্দ্র দেওয়ান বলেন, ৪৫টি আসনেই আমরা নির্দল হয়ে লড়ছি। কারণ আমরা না লড়লে অনীত থাপারা ফাঁকা মাঠে গোল দেবে। অনীত থাপাদের আটকাতে হবে। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। তাই আমরা নির্দল হয়ে এবার নামছি ভোটের ময়দানে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এটা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নতুন এক চাল।
চোখে ধুলো দেওয়ার পাল্টা মানুষকে ধোঁকা
বিমল গুরুংয়ের দলের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা প্রধান অনীত থাপা। তিনি বলেন এটা নতুন এক পরিকল্পনা গুরুংয়ের। হামরো পার্টির প্রধানব অজয় এডওয়ার্ডও বলেন, চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা এসব। এটাই ওদের রণনীতি। তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করেছে, সেটা বলছে না পাহাড়ের মানুষকে। অনীত থাপাও মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন। বিজেপিও ভোটের বিরোধিতা করে। গুরুংকে নিয়ে বলেন, এটা ওনার ব্যাপার। আমি এটুকু বলতে পারি, জিটিএ-তে মানুষের ভালো হবে না। উল্লেখ্য, জিটিএ নির্বাচন হবে ২৬ জুন। মোট ৩১৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নুপুর শর্মা বিতর্কের মাঝেই, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি