বিজেপিতে ২৫ জন নেতার যোগদান, পাহাড়ে গুরুং শিবিরে বিরাট ভাঙন একুশের আগে
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিয়েছেন বিমল গুরুং। তারপরই গুরুং শিবিরের ২৫ জন নেতা বিজেপিতে যোগ দিলেন। বিমল গুরুং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ নেওয়ার বিরোধিতা করেই তাঁরা দলত্যাগ করেছেন বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। বিজেপি জানিয়েছে এটা তো ট্রেলার মাত্র, এমন যোগদানও আরও হবে।

গুরুং শিবিরে ভাঙন, দলে দলে বিজেপিতে
২০১৯-এ যে বিমল গুরুং পাহাড়ের বাইরে থেকে বিজেপিকে সমর্থন করে জিতিয়ে দিয়েছিলেন, সেই গুরুংই ২০২১-এর আগে পাহাড়ে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। পাহাড় থেকে সমতল তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাঁর এই মত বদলের জন্যই তাঁর শিবিরে ভাঙন ধরেছে বলে দাবি বিজেপির।

গুরুং বনাম তামা্ং দ্বৈরথের মধ্যে ভাঙন পাহাড়ে
বিজেপির দাবি মানুষ আর চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই তাঁর সঙ্গে যাঁরা যাবেন, তাঁরাই সমর্থন হারাবেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এবং স্বয়ং বিমল গুরুং এই দলবদলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। গুরুং বনাম তামা্ং দ্বৈরথের মধ্যে এই ভাঙন তাৎপর্যপূর্ণ হলেও পাহাড়ের কর্তৃত্ব নিয়ে চিন্তিত নন একদা পাহাড়ের অঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী।

এটা ট্রেলার মাত্র, পাহাড়ে আরও বড় যোগদান শীঘ্রই
শিলিগুড়িতে গুরুংপন্থী যে ২৫ জন নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিমল গুরুংয়ের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা স্বরাজ থাপা, গুরুংপন্থী মোর্চা মুখপাত্র বিপি বাজগাই, তরাইয়ের গুরুংপন্থী মোর্চা নেতা শঙ্কর অধিকারী প্রমুখ। এরপরই সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন এটা ট্রেলার দেখলেন, পাহাড়ে আরও বড় যোগদান শিবির হবে শীঘ্রই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের ডাকেই ভাঙন!
বিজেপি হাত ছেড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের ডাক দিয়েছেন পাহাড়ের মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। তারপরই গুরুং শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে দলত্যাগী মোর্চা নেতারা দাবি করেছেন, গুরুংয়ের সিদ্ধান্তের জন্যই তাঁদের বিজেপিতে যোগ দিতে হল। তাঁরা গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন নিয়ে গুরুংকে নেতা মেনেছিলেন। সেই গুরুং আত্মসমর্পণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।

দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, দলবদলে কোনও ক্ষতি নেই
এই দলবদলের পর গুরুংপন্থী মোর্চার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানিয়েছেন, এঁদের সঙ্গে অনেক আগে দলের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এরা বিজেপিতে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। তৃণমূলও এই বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তৃণমূল মনে করছে, পাহাড়-সহ সমতবের ১৪টি আসন গুরুংয়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব কাজ করবে।