ফের অশান্তির হওয়া, GTA ভাঙার দাবিতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে চিঠি গুরুংদের, সামিল অজয় এডওয়ার্ডও
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে একযোগে আন্দোলন পাহাড়ে
ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি সুর চড়াচ্ছে পাহাড়ে। নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডও। কয়েকদিন আগেই যিনি পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছিলেন। সেই অজয় এডওয়ার্ডও এবার বিমল গুরুংদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়েছেন। সূত্রের খবর জিটিএ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে তাঁরা কেন্দ্র এবং রাজ্যকে চিঠি পাঠাতে চলেছে।
অশান্তির আঁচ পাহাড়ে
ফের তপ্ত হচ্ছে পাহাড়। নতুন করে জেগে উঠেছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে পাহাড়ে প্রত্যাবর্তন হয় বিমল গুরুংয়ের। সেই গুরুং পাহাড়ে পা রাখতেই জেগে ওঠে গোর্খাল্যান্ডের উত্তাপ। একুশের ভোট পার হয়ে গিয়েছে নির্বিঘ্নেই। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট আর লোকসভা ভোট কি নির্বিঘ্নে কাটবে? তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ যত সময় এগিয়ে আসছে ভোটের তত পাহাড়ে গোর্খ্যাল্যান্ডের সুর চড়ছে।
একজোট সকলে
গোর্খাল্যান্ডের দাবি পাহাড়ে জেগে উঠতেই ধীরে ধীরে পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে বিমল গুরুংয়ের। পাহাড়ে ফেরার পর যাঁরা তাঁর বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন দেখাতেই তাঁরা আবার একে একে হাত মেলাতে শুরু করেছেন বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। বিনয় তামাং তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সুর বদল করেছেন। হাত মিলিয়েছেন পুরনো সঙ্গী বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। অন্যদিকে অন্য দলের হলেও গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে এক জোট হয়েছেন অজয় এডওয়ার্ড, অনিত থাপাও। এমনকি সিপিএমও হাত মিলিয়েছে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে। একটি যৌথ মঞ্চ তৈরি করেছে তারা।
কেন্দ্র এবং রাজ্যকে চিঠি
সূত্রের কবর এবার গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে চিঠি দিতে চলেছেন গুরুংরা। জিটিএ বাতিল করার দাবি জানাবেন তাঁরা। আগেই অবশ্য বিমল গুরুং জানিয়েছিলেন এবার পাহাড়ে নির্বাচন হলে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতেই লড়াই হবে। যে রাজনৈতিক দল গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে ভোটে লড়বে তাদের সমর্থন জানাবেন তাঁকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পর পর ২টি লোকসভা ভোটে দার্জিলিঙে বিজেপি জিতলেও তেমন জায়গা করে নিতে পারেনি সেখানকার বাসিন্দাদের মনে। পাহাড়ে এক প্রকার কোণ ঠাসা হয়ে গিয়েছে বিজেপি।
গুরুংয়ের হুঁশিয়ারি
জিটিএ কিছুতেই আর মানতে রাজি নন পাহাড়ের নেতারা। এক যোগে তাঁরা জিটিএ ভাঙার দাবি জানিয়েছেন। জিটিএ তৈরি করে পাহাড়ের কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিমল গুরুং। তিনি প্রকাশ্য এই নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দার্জিলিংকে গোর্খাল্যান্ড না করা হলে ফের পাহাড়ে আগুন জ্বলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিমল গুরুং। লোকসভা ভোটের আগে সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।