সিবিআই জেরা'র মধ্যেই পরেশকে 'বড় সরকারি পদ'! তোপ বিরোধীদের
ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। তাঁর মেয়েকে প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আর সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই নজরে রাজ্যের এই মন্ত্রী। কয়েক দফায় তাঁকে জেরাও করেছেন কেন্
ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। তাঁর মেয়েকে প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আর সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই নজরে রাজ্যের এই মন্ত্রী। কয়েক দফায় তাঁকে জেরাও করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে শাসক তৃণমূল। আর এই বিতর্কের মধ্যেই পরেশ অধিকারীকে কার্যত 'পুরস্কৃত' করা হল। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
সরকারি পদপ্রাপ্তি মন্ত্রী'র
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যখন সিবিআই স্ক্যানারে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সেই সময়েই সরকারি পদ মিলল! রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেন পরেশ অধিকারী। মেখলিগঞ্জ মন্ত্রীর গড় বলেই পরিচিত। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। এমনকি বিধায়কও বটে। এবার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যেই হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে। কার্যত এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালেও দায়িত্ব রয়েছে
বলে রাখা ভালো আগে থেকেই মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এবার আরও একটি সরকারি পদ। হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালেরও কল্যাণ সমিতি'র দায়িত্ব পরেশ অধিকারীকেই দেওয়া হল। দুটি সরকারি পদ এভাবে দেওয়া ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কড়া ভাষায় বিরোধীদের জবাব তৃণমূলের।
জোর রাজনৈতিক তরজা
সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলই এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। বিজেপি নেতার দাবি, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। যারা চুরি করে তাঁদেরই প্রশয় দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে সৌমিত্র খাঁয়ের দাবি, মমতাদি চোরদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অন্যদিকে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এই সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারী। এটাই তাঁর প্রমাণ। বিষয়টি মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল। তাঁদের পালটা দাবি, উন্নয়ন চোখে পড়ছে না বিরোধীদের। শুধুমাত্র কুতসা করতেই এহেন অভিযোগ বলে দাবি।
সিবিআই স্ক্যানারে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয় পরেশ অধিকারীকে। তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্যেও সুপারিশ করে হাইকোর্ট। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। যদিও বেশ কয়েক দফায় পরেশ অধিকারীকে জেরা করে সিবিআই। ফের তাঁকে তলব করা হতে পারে বলে খবর। আর এর মধ্যেই পরেশ অধিকারী'র সরকারি পদ ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।