ধূপগুড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ডাম্পারের তলায় একাধিক গাড়ি, মৃত্যু অন্তত ১৩ জনের
জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়িতে (dhupguri) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (accident)। মঙ্গলবার রাতে হওয়া এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

১৩ জনের মৃত্যু, ১০ জন আহত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির জলধাকা সেতুর কাছে ময়নাতলি এলাকায়। একটি পাথর বোঝাই ডাম্পারের তলায় চাপা পড়ে যায় দুটি চারচাকার ছোট গাড়ি। এই ঘটনায় সাত মহিলা এবং ৪ টি শিশু-সহ অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ও আহতরা সবাই ময়নাগুড়ির রানিহাটের বাসিন্দারা। তাঁরা সবাই একটি বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উদ্ধারকাজ শুরু করেন স্থানীয়রা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার শব্দে এবং আহতদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কিন্তু পাথর বোঝাই ডাম্পারের তলায় গাড়িগুলি চাপা পড়ে যাওয়া উদ্ধার কাজ মুশকিল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং সরকারি উদ্ধারকারী দল। আনা হয় পে লোডার, জেসিপি, দমকল। প্রায় দেড়ঘন্টার চেষ্টায় গাড়ির ভিতর থেকে মৃত ও আহতদের উদ্ধার করা হয়।

ওভার লোডিং-এ উল্টে যায় ডাম্পার
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওভারলোডিং-এর ফলেই ডাম্পারটি উল্টে যায়। প্রতিদিনই এই রুটে শয়ে শয়ে ওভারলোডেড পাথর ও বালি বোঝাই ডাম্পার চলে। সেরকমই একটি মঙ্গলবার রাতে জলঢাকার ময়নাতলি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় উল্টে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিছনে থাকা আরও একটি ছোট গাড়িও ডাম্পারে ধাক্কা মারে।

সোমবার গভীর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গুজরাতে মৃত্যু ১৩ শ্রমিকের
সোমবার গভীর রাতে গুজরাতের সুরাতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৩ শ্রমিকের। আখ বোঝাই একটি ট্রাকটরে সঙ্গে অপর একটি ট্রাকটরের সংঘর্ষ হয়। একটি ট্রাকটর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা শ্রমিকদের ওপরে গিয়ে পড়ে। এঁরা সবাই রাজস্থানের শ্রমিক। এই দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে মৃতদের পরিবারবর্গকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের পরিবারবর্গকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করা হয়েছিল। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বড় দুর্ঘটনা ঘটল পশ্চিমবঙ্গে।
