পাহাড়েও দলবদলের হিড়িক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অজয়কে টেক্কা অনীতের
পাহাড়েও দলবদলের হিড়িক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অজয়কে টেক্কা অনীতের
২২ বছর পর পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে পাহাড়ে। সেই ভোটের আগে পাহাড়ে বাড়তে শুরু করেছে নির্বাচনী উত্তাপ। শুধু সমতলেই নয়, পাহাড়েও দলবদলের হিড়িক পড়েছে। সমতলে যখন লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের, তখন পাহাড়ের বুকে এই লড়াইটা সীমাবদ্ধ হামরো পার্টি ও গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মধ্যে।
এতদিন পাহাড়ে রাজ চলেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুংয়ের। সুবাস ঘিসিংয়ের প্রভাব ক্ষীণ হওয়ার পর পাহাড় একাহাতে শাসন করে গিয়েছেন গুরুং। কিন্তু ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই গুরুংয়ের দাপট কমতে শুরু করে। ২০১৯-এ বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে খানিক প্রভাব বিস্তার করলেও তারপর থেকে তাঁর প্রভাব ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে শুরু করে।
২০২১-এর নির্বাচনে শসাকদল তৃণমূলকে সমর্থনের বার্তা দিলেও ভোটে ভরাডুবি হয় গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দাপট শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখেই সেই পার্টি থেকে বেরিয়ে যান বিনয় তামাং, অনীত থাপা-রা। বিনয় তামাং সরাসরি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর অনীত থাপা গড়েন নতুন পার্টি গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
কিন্তু সাম্প্রতির পুরসভা নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে দার্জিলিংয়ে জয়ী হয় হামরো পর্টি। মাত্র তিনমাস আগে নতুন পার্টি গড়ে অজয় এডওয়ার্ডস বিরাট সাফল্য পান পাহাড়ে। দার্জিলিং পুরসভায় এখন হামরো পার্টির শাসন। জিটিএ নির্বাচনে কিন্তু অজয় এডওয়ার্ডসের হামরো পার্টি সুবিধা করতে পারেনি। সেখানে জয় হয় ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার। এই বিজিপিএম পার্টির সুপ্রিমোর হাতেই কার্যত পাহাড়ের রাশ এখন।
সম্প্রতি রাজ্যের তৃণমূল সরকার ঘোষণা করেছে, রাজ্যের সমস্ত জেলার সঙ্গে পাহাড়েও পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। ২২ বছর যেখানে নির্বাচন হয়নি, সেখানে নির্বাচন ঘোষণার ইঙ্গিত পেতেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে। সেই সূত্র ধরেই চলেছে দলবদল। সম্প্রতি হামরো পার্টি ছেড়ে গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দিয়েছে দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং মহকুমার ৬৭টি পরিবার।
অজয় এডওয়ার্ডের কার্শিয়াং সফরের মাঝেই হামরো পার্টিতে ভাঙন ধরেছে। অজয়ের দল ছেড়ে অনীত থাপার দলে যোগ দিয়েছেন ৬৭টি পরিবারের সদস্যরা। কার্শিয়াংয়ের নতুন বাজার টাউন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকরা তুলে দেওয়া হয় অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার পক্ষ থেকে। কার্শিআদের তিনধারিয়ে মহানদী এলাকা থেকে ৫৪টি পরিবার ও গাড়ধূরা এলাকা থেকে ১৩টি পরিবার হামরো পার্টি ছেড়ে বিজিপিএমে যোগ দিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক দলবল নিয়ে সরগরম পাহাড়।
বঙ্গ বিজেপির ডামাডোল ফের প্রকাশ্যে, দল বাঁচাতে নতুনকে সরিয়ে আহ্বান পুরনোকে ফেরানোর