পাহাড়ের রাজনীতিতে চাপে বিজেপি, জিটিএ ভোটে জিতেই অনীত আসছেন মমতার দুয়ারে
পাহাড়ে রাজনীতিতে পালাবদল ঘটেছে। বিমল গুরুংয়ের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। দায়িত্ব এখন অনীত থাপার কাঁধে। জিটিএ নির্বাচনে জিতে অনীত থাপা এবার আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে।
পাহাড়ে রাজনীতিতে পালাবদল ঘটেছে। বিমল গুরুংয়ের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। দায়িত্ব এখন অনীত থাপার কাঁধে। জিটিএ নির্বাচনে জিতে অনীত থাপা এবার আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে। বরাবরই অনীত থাপার সঙ্গে সুসম্পর্ক অনীত থাপার। এখন দেখার জিটিএ বোর্ডে অনীত থাপার শরিক হয় কি না তৃণমূল।
এবার জিটিএ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম। আর বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। বিজিপিএম যেখানে ২৭ আসনে জয়ী হয়েছে, সেখানে হামরো পার্টি পেয়েছে আটটি আসন। আর তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ৫টি আসন। ৫ জন নির্দল প্রার্থী জয় লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে চার জন আবার বিজিপিএমের বলেই দাবি করেছেন অনীত থাপা।
অনীত থাপার জোড়া আসনে জয়লাভ করেছেন। একদা অনীতের সঙ্গী বিনয় তামাং তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন। জয়ী হয়েছেন হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ডও। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে কী সমীকরণ দাঁড়ায় সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আর পাহাড়কে কেন্দ্র করে বাংলার প্রধান রাজনৈতিক দলের সমীকরণও কী হয়, তা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে।
অনীত থাপা জিটিএ-র প্রধান পদে আসীন হবেন। তিনি রাজ্য সরকারকে সমর্থন করবেন বা রাজ্যের সমর্থন নেবেন, সেটাই হওয়া উচিত বলে মনে করথে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, অনীত থাপা রাজ্য সরকারকে বা রাজ্যের শাসক দলকে সমর্থন করতেই পারেন। জিটিএ ভোট হয়েছে। ফলাফলও বেরিয়ে গিয়েছে। আমরা শুরু থেকেই জিটিএ-র বিরোধিতা করে আসছি। আদালতে মামলা চলছে। আমরা যদি জয়ী হই, তবে অনীত থাপাদের পদ ছাড়তে হবে।
এদিন অনীত থাপা জিটিএ চেয়ারম্যান পদে বসার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, অনীত থাপা ভাবছেন জিটিএ নির্বাচনে জিতেছেন, এবার পাহাড়ের মানুষের সবার পয়সা তাঁর বাড়ি যাবে, আর উনি বিদেশে হোটেল করবেন, তাহলে সেটা ভুল ভাবছেন। বিজেপি তা হতে দেবে না।
সুকান্ত মজুমদারের এই কথায় স্পষ্ট, বিজেপি পাহাড় রাজনীতিতে ২০২৪-এর আগে চাপে রয়েছে। পাহাড়ে তাঁদের শক্তি দুর্বল হবে। কারণ পাহাড়ের সমর্থন এখন অনীত থাপার দিকে। অনীত থাপার বিজিপিএম আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের মিত্র শক্তি। অনীত থাপার সমর্থনে তিনি পাহাড়ের দখল নিতে পারেন প্রথমবার, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।