পাহাড়ে অজয় বনাম অনীতের লড়াই, গুরুংয়ের রাজপাট চুকিয়ে কে দখল নেবেন জিটিএ-র
পাহাড়ে অজয় বনাম অনীতের লড়াই, গুরুংয়ের রাজপাট চুকিয়ে কে দখল নেবেন জিটিএ-র
পাহাড়ের রং বদলাতে শুরু করেছে। ক্রমশই ফিকে হচ্ছে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জায়গা নিচ্ছে অজয় এডওয়ার্ডসের হামরো পার্টি আর অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। একদিন বাদেই জিটিএ নির্বাচন, এখন এই দুই দলকে ঘিরেই আবর্তির হচ্ছে পাহাড়ের রাজনীতি।
কার দখলে থাকবে জিটিএ? ১০ বছর পর পাহাড়ে ভোট
পাহাড়ে ক্রমেই গৌণ হচ্ছে এতজদিন রাজপাট চালানো গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ। এখন পাহাড়ে দাপট হামরো পার্টি ও গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মূলত এই দুটি দলেরই লড়াই আসন্ন জিটিএ নির্বাচনে। কার দখলে থাকবে জিটিএ? ১০ বছর পর পাহাড়ে ভোট নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।
ভোটের বাদ্যি বাজল পাহাড়ে, প্রচার পর্ব জমজমাট
আগামী ২৬ জুন জিটিএ বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্বাচন। শেষবার ভোট হয়েছিল ২০১২-য়। তারপর ২০২২-এ ফের ভোট হচ্ছে জিটিএ-র। এবার বিজেপি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ ভোটের বিরোধিতা করলেও প্রক্রিয়া এগিয়েছে এবং ভোটের বাদ্যি বাজিয়ে জমজমাট প্রচার পর্বের ইতি ঘটতে চলেছে।
পাহাড়ে লড়াই হামরো পার্টি বনাম গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, কার দখলে থাকবে পাহাড়? সম্প্রতি দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে চমক দিয়ে হামরো পার্টির উত্থান ঘটেছে। একার কৃতিত্বে হামরো পার্টি দার্জিলিং পুরসভা দখল করেছে। পুরসভায় বিরোধী দল হিসেবে উত্থান হয়েছে গুরুংয়ের দলের প্রাক্তনী অনীত থাপার নতুন দল গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার। অন্য সব দল অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে।
বিমল গুরুংয়ের দাপট স্তিমিত, হঠাৎ উত্থান দুই দলের
এমনকী যে বিমল গুরুংয়ের দাপটে পাহাড়ে বাঘে-বলদে জল খেত, তাঁর দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পাত্তা পায়নি দার্জিলিংয়ের পুরসভা নির্বাচনে। পাহাড়ে হঠাৎ করে দুটি নতুন দলের উত্থানে অন্য খাতে বইতে শুরু করেছে রাজনীতি। কংগ্রেস থেকে সিপিএম এমনকী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি থাকলেও পাহাড়ের রাজনীতি বর্তমানে আবর্তিত হচ্ছে হামরো পার্টি আর গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে নিয়েই।
ভোট কাটাকাটির খেলা বনাম পাহাড়ের আবেগ নির্বাচনে
পাহাড়ে এবার একপেশে নির্বাচন হবে না, তা স্পষ্ট। ভোট কাটাকাটির খেলা যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে পাহাড়ের আবেগ। পাহাড়বাসীর আবেগ এবার কোনদিকে যায়, তা নিয়ে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। একাধিক নির্দল রয়েছে নির্বাচনে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে শুরু বিজেপি ও জিএনএলএফ এবার অন্য তাস খেলেছে পাহাড়ের রাজনীতিতে।
অজয় না অনীত, কার কপালে উঠবে পাহাড়ের জয়টিকা
তবে রাজনৈতিক মহলের মত, পাহাড়ে একাধিক দল নির্বাচনে লড়লেও মূলত অজয় এডওয়ার্ডসের হামরো পার্টি ও অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মধ্যেই লড়াই হবে। পাহাড়ে ভোটের প্রচারে উঠে এসেছে নানা ইস্যু। সেই ইস্যুতে প্রলেপ দেওয়ার কাজে পাহাড় কার উপর বিশ্বাস রাখে তা জানা যাবে অচিরেই। তার জন্য পাহাড় সেজে উঠেছে। ২৬-এ পাহাড়ের নির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ২৯ জুন। মোট ৪৫ আসনের লড়াই। দার্জিলিংয়ে ১৭, কার্শিয়াংয়ে ১৫ এবং কালিম্পংয়ে ১৩ আসন রয়েছে।