মালদার সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ অধীর চৌধুরীর
মালদার সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ অধীর চৌধুরীর
মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকাত রানি বলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি, এদিন মালদার মহামিছিলের জনসভায় যোগ দিয়ে তাঁর আরও মন্তব্য, 'দিদির দলের নেতারা পালিয়ে যাচ্ছে। আর তিনি আমাদের গালমন্দ করছেন।'
মঙ্গলবার মালদার ডি এস ময়দানের পাশ থেকে কর্মী সর্মথকদের নিয়ে কৃষি বিলের বিরোধীতায় পথে হাঁটেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি এদিন শহর পরিক্রমা করে মালদার জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসের পা ধরতে হবে। বাংলায় বিভাজনের রাজনৈতি করছে তূণমূল। আজ ইমাম ভাতা কাল পুরোহিত ভাতা এই সব কথা বলে বাংলার মানুষের মধ্যে বিভাজন করছে তৃণমূল। বাংলায় বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছে দিদি। বাজারে সবজির দাম অগ্নি মূল্য। সেখানে পাঞ্জাব, রাজস্থান ছত্তিশগড় রাজ্যে ব্যবস্থা নিলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বিজেপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
যারা দিদির দলের হয়ে এই বাংলায় এই মালদায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। কংগ্রেস কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। মুর্শিদাবাদে গিয়ে বলেছিল অধীর চৌধুরী বিজেপিতে চলে যাবে মুসলমানরা ভোট দিও না। তারাই এখন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। চোর বাটপার সব দিদির দলে। বাংলায় যে বিজেপি এসেছে তার নায়িকা আপনি। ডাকাত কি রানি বলে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি যেসব তৃণমূলের নেতারা কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন তাদেরকে কংগ্রেসের ফেরত আসার আবেদন জানান তিনি।
আজ মালদার জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে কৃষি বিলের বিরোধিতা করে সভা করেন কংগ্রেস। মালদা শহরের বালুরচর এলাকা থেকে গোটা শহর মিছিল পরিক্রমা করে এরপর শুরু হয় সভা। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি ও। নির্বাচনের আগে নিজেদের ঘাঁটি মজবুত করতেই এই সভা। মনে করছে রাজনৈতিক মহল।এরপরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ভলেন, আমরা মালদায় কোনদিন হারি নি। জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে আমাদের জায়গা। আমাদের সমর্থন কোনদিনও কমে নি। তার প্রমাণ আজকের এই মহামিছিল এবং সমাবেশ। আগামী দিনে মালদায় কংগ্রেস ভালো ফলাফল করবে। তৃণমূলের জন্য থাকবে বড় বড় রসগোল্লা। তার পাশাপাশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে মহুয়া মিত্রের কুরুচিকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। তিনি জানান সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের চতুর্থ সম্ভব। ফলে আগামীতে সংবাদমাধ্যম এবং জনগণ এর সঠিক উত্তর দিবে।
সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে যে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র করেছেন তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আসলে মোদি এবং দিদি'র রাজনীতি এক। তাই ওরা যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম। আর এই ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য কখনো মেনে নেওয়া যায় না । এদিন কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ একাধিক দাবিতে জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে এদিন মালদা শহর জুড়ে এক মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইংরেজবাজার ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী সর্মথকদের সঙ্গে এই মহামিছিলে পা মেলান। মহামিছিলের পা মেলান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক ও কর্মী সর্মথকেরা।
৬টি করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে, কয়েক সপ্তাহেই মিলতে পারে ছাড়পত্র, ইঙ্গিত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের