গাফিলতি ছিল! ক্ষমা চেয়ে অভিষেক বললেন, 'উত্তর-দক্ষিণ নয়, সবটাই বাংলা'
বিধানসভাতেও উত্তরবঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। একের পর এক বিধানসভা আসন উত্তরবঙ্গ থেকে জিতেছে বিজেপি। এমনকি সাংসদও পেয়েছে তাঁরা। ফলে বিজেপি'র কাছে কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে উত্তরবঙ্গ।
লোকসভাতে তো বটেই, বিধানসভাতেও উত্তরবঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। একের পর এক বিধানসভা আসন উত্তরবঙ্গ থেকে জিতেছে বিজেপি। এমনকি সাংসদও পেয়েছে তাঁরা। ফলে বিজেপি'র কাছে কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে উত্তরবঙ্গ।
আর এরপর থেকে বাংলা ভাগের দাবি তুলছেন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা। বঞ্চিত থাকার দাবি তুলে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব বিজেপি। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়েই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। .
২১ শে জুলাইয়ে তৃণমূলের টার্গেট উত্তর
সামনেই ২১ শে জুলাই। আর এই শহিদ দিবসকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে চায় শাসকদল। বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছে। তবে এবার তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ। সেখান থেকে সবথেকে বেশি জমায়েত চান শাসকদল। আর সেই লক্ষ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে ছুটে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধুপগুড়িতে সভা করেন তিনি। আর সেই সভা থেকেই কার্যত নরমে গরমে দলের নেতা-কর্মীদের বার্তা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। একই সঙ্গে বাংলা ভাগ নিয়ে বিজেপিকেও দিলেন বার্তা।
সবটাই বাংলা
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধায় স্পষ্ট বার্তায় জানিয়ে দেন, উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ আলাদা করা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। একটাই বঙ্গ। সেটা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। যারা উত্তরবঙ্গকে ভাগ করতে চাইছে তাঁদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। বলেন, পৃথক রাজ্য হবে না। মমতা যতদিন থাকবে তা কখনই হবে না। আমার উত্তরবঙ্গ শুনতে ভালো লাগে না বলে দাবি তাঁর। আগামী ছয় মাসের মধ্যে উত্তরে নতুন তৃণমূল তৈরি হবে বলেও দাবি সাংসদের। তৃণমূলের অভিধানে উত্তরবঙ্গ বলে কিছু নেই বলেও দাবি তাঁর। এই ইস্যুতে কার্যত বিজেপিকে সাবধান করে দেন মমতা ভাইপো।
কেন উত্তরে এই হাল? পর্যবেক্ষণ করলেন অভিষেক
অভিষেক বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করতে পারিনি। কেন জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারের মানুষ আমাদের বঞ্চিত করেছে? তা নিয়ে কথা বলতে স্থানীয় একটি হাঁটে এদিন নামেন অভিষেক। সেখানকার অভিজ্ঞতার কথা সভা থেকে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, এই জেলাতে মানুষ তৃণমূলের জন্যে দরজা খুলে বসে আছে। কিন্তু আমাদের তৃণমূল কর্মীরা পৌঁছতে পারছে না বলে আক্ষেপ অভিষেকের। আর সেখানে বিজেপি'র নেতা-কর্মীরা বসছেন বলে অভিযোগ তাঁর। এই বিষয়ে গাফিলতি রয়েছে বলেও দাবি অভিষেকের। তবে এজন্যে মানুষের কাছে মঞ্চ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দেব-
এদিন উত্তরে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, গ্যাসের দাম থেকে পেট্রোল। সমস্ত জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। মানুষের ভোট নিয়ে এই কাজ করছে বলে দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেও আক্রমণ সাংসদের। বলেন, গ্যাস-পেট্রোলের দাম বাড়িতে সাংসদ-বিধায়ক কেনাবেচা করছে। টাকা কম পড়লেই জিনিসের দাম বাড়াচ্ছে বলে অয়াক্রমন তাঁর।
নম্বর শেয়ার করলেন অভিষেক
গত কয়েকদিন আগেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের জন্যে অভিষেককে বলো বলে একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যেখানে মানুষ অভাব অভিযোগ জানতে পারবে। এবার সেই কর্মসূচি উত্তরবঙ্গের জন্যেও ঘোষণা করে দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। এজন্যে সভামঞ্চ থেকে নম্বরও দিলেন তিনি। পরিচয় গোপন রেখে মানুষ তাঁর অভাব-অভিযোগ অভিষেককে জানাতে পারবেন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে;র মানুষের সেচের সমস্যা সহ একাধিক ইস্যু নিয়েও এদিন কথা বলেন অভিষেক । জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হবে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।
উত্তরবঙ্গে বিজেপি'র কাছে বারবার হার কেন তৃণমূলের? রাস্তায় নেমে বুঝলেন অভিষেক