ভয়ঙ্কর কালাবৈশাখীর দাপট কোচবিহারে, লন্ডভন্ড বিস্তীর্ণ এলাকা, প্রাণ গেল ৩ জনের
ভয়ঙ্কর কালাবৈশাখীর দাপট কোচবিহারে, লন্ডভন্ড বিস্তীর্ণ এলাকা, প্রাণ গেল ৩ জনের
তীব্র ঝড়ে লন্ডভন্ড কোচবিহার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। দক্ষিণবঙ্গে যখন তাপ প্রবাহ চলছে ঠিক তখন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় চলছে ঝড়বৃষ্টি। ১৫ তারিখের পর গতকাল ফের কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে কোচবিহারে। শতাধিক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি, গাছ রাস্তায় উপড়ে পড়েছে। তার জেরে যান চলাচল করছে না। ঝড়ের তীব্রতায় গতকাল ২ জন মারা গিয়েছেন কোচবিহারে।
গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গ। এদিকে উত্তরবঙ্গে লাগাতার ঝড়-বৃষ্টির দাপট। ১৫ এপ্রিলের পর ফের গতকাল রাতে ২০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভন্ড উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। কোচবিহারে কালাবৈশাখীর তাণ্ডবের পরে জলপাইগুড়িতে একাধিক জায়গায় গতকাল শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ভয়ঙ্কর খারাপ অবস্থা কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। প্রায় হাজার খানের টিনের বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। মানুষ এক রাতের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে চলে এসেছেন। এমনকী পাকা পাড়ি ভেঙে পড়েেছ একাধিক জায়গায়। ঝড়ের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, বড় বড় গাছ। একাধিক রাজ্য সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত রাস্তা থেকে বিদ্যুতের তার এবং গাছ পড়ে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কোনও কাজ করছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে তাঁদের। গতকাল রাত থেকেই বিদ্যুৎহীন এবং জলহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত খাবার পৌঁছনোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রবল ঝড়ে ইতিমধ্যেই কোচবিহারে কমপ ক্ষে ৩ জন মারা গিয়েছেন। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং মালদহের ফারাক্কায় ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। তার জেরে মালদহের আমের চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষীরা মাথায় হাত দিয়েছেন যাকে বলে। এতটাই খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারি,চান্দামারী সহ একাধিক এলাকায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল সকালে ১০ মিনিটের ঝড়ে কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। শতাধিক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছিল। একজন মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন অনেকে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। ৫ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বর্ষণের েলশ মাত্র নেই। গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা।
ত্রাণের দাবিতে শেষে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের। বাড়িঘর হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। ছোট শিশুদের নিয়ে কোথায় থাকবেন তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। পর পর ২ দিনএই ভয়ঙ্কর বিপর্যয় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভাবিয়ে তুলেছে আবহাওয়া বিদদেরও।