অনীতের বিরুদ্ধে ২২ দলের জোট! পঞ্চায়েতের আগে পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড়
অনীতের বিরুদ্ধে ২২ দলের জোট! পঞ্চায়েতের আগে পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া মোড়
পাহাড় রাজনীতির এই মুহূর্তে মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছেন অনীত থাপা। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে তাঁর দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম। তারপর হামরো পার্টিকে সরিয়ে এদিনই দার্জিলিং পুরসভার দখল নিয়েছে তারা।
পাহাড়ে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। তার আগে অনীতের বিরুদ্ধেই জোট গড়ে তুলতে সম্প্রতি এক মঞ্চে এসেছেন বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ডরা। এমনকী সিপিএমও শামিল এই মঞ্চে। তবে বিমল গুরুং নিজেকে এই মুহূর্তে তৃণমূল ও বিজেপির থেকে দূরে রাখছেন বলে দাবি করেছেন।
গোর্খাল্যান্ডের দাবি নয়, আমাকে গালি দেওয়ার মঞ্চ
পাহাড়ে রাজনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে নয়া মোড় নেওয়ার অপেক্ষায়। এই অবস্থায় বিরোধীদের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন তৃণমূল-বান্ধব অনীত থাপা। তিনি বলেছেন, ওটা গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলার মঞ্চ নয়, ওটা আসলে আমাকে গালি দেওয়ার মঞ্চ।
ভোটে হেরেই সবাই মিলে জোট পাকানোর চেষ্টা করছে
অনীত থাপা পাহাড়ে অনৈতিক জোটকে একহাত নিয়ে বলেন, "যাদের কোনও মিল নেই তারাই মিলিত হচ্ছে। এই মিলন কতদিন চলবে সেটা জানা নেই। এরা মিলিত হচ্ছে শুধুমাত্র বিজিপিএমের বিরোধী দল তৈরি করার জন্য৷ পাহাড়ে বিজিপিএম একটি শক্তিশালী দল। আমাদের কাছে হেরেই ওরা সবাই মিলে জোট পাকানোর চেষ্টা করছে।
গোর্খা স্বাভিমান সংঘর্ষ সমিতি নামে মঞ্চে ওরা সবাই
রবিবার দার্জিলিং ক্যাপিট্যাল হলের সামনে গোর্খা স্বাভিমান সংঘর্ষ সমিতি নামে মঞ্চ তৈরি করে বহু রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দল মিলে একত্রিত হয়ে একটি জনসভার আয়োজন করে। এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অজয় এডওয়ার্ড, বিমল গুরুং, বিনয় তামাং-সহ আরও বেশকিছু প্রথম সারির নেতা৷
বিজিপিএমের বিরুদ্ধে একটি বিরোধী দল তৈরি করার চেষ্টা
পাহাড়ে এই জনসভায় সকলের এক মঞ্চে থাকার বিষয়ে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সভাপতি তথা জিটিএ চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা বলেন গণতান্ত্রিক দেশে সকলেরই মিটিং করার অধিকার রয়েছে। আমি মনে করি আমাদের দল পাহাড়ে খুব শক্তিশালী। তাই তারা সবাই মিলে আমাদের দলের বিরুদ্ধে একটি বিরোধী দল তৈরি করার চেষ্টা করছে।
৬০-৭০ জন নেতা আর ১০০ থেকে ১৫০ সমর্থক নিয়ে সভা
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে মানুষের ভোটে গোহারা হেরে অনীত থাপা এবং অমর লামাকে তিরস্কার করা ছাড়া তাদের আর কোনও ইস্যু নেই। তারা বলছে এই জনসভা একটি বিশাল জনসভা। কিন্তু সেখানে ৬০-৭০ জন নেতা আর ১০০ থেকে ১৫০ সমর্থকই রয়েছে শুধু। মানুষ নেই।
অনীত থাপাকে পাল্টা হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডের
অনীত থাপার এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে হামরো পার্টির সুপ্রিমো অজয় এডওয়ার্ড বলেন, এদিন এখানে ২২টি রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ছিল। আমরা মুক্ত হয়েছি এবং এখন আমরা একসাথে লড়াই করব। আমরা পিঁপড়ের মতো চলে সময় নষ্ট করব না। অনীত থাপা কী বললেন তা বিবেচ্য নয়। তিনি আমাদের কাছে কোনও বিষয় নন। এবার যে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে পাহাড়ে আন্দোলন আরও জোরদার হবে, তা বলাই যায়।
পাহাড়ে গুরুং-তামাংদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে সিপিএম! প্রাসঙ্গিকতার খোঁজে গোর্খাল্যান্ড কাঁটা