সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা না থাকলেও জরিমানা নয়, প্রস্তাব
বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি তো বটেই, আজকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিও সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম রাশি রাখার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ইত্যাদি সেভিংস অ্যাকাউন্টে ত্রৈমাসিক পিছু ১০ হাজার টাকা রাখার কথা বলে। গ্রাহকরা ওই টাকা না রাখলে মোটা টাকা কেটে নেওয়া হয় জরিমানা বাবদ। স্টেট ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ইত্যাদি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অল্প টাকা কাটে, কিন্তু কাটে। এই ব্যবস্থা বন্ধের আর্জি জানিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে। তার ফলশ্রুতি হিসাবেই দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এমন পদক্ষেপ নিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, জরিমানা বাবদ টাকা না কেটে বরং সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে পরিষেবা সীমিত করে দেওয়া হোক। যেমন, আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা না থাকলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে চেকবুক বা এটিএম পরিষেবা। শুধু টাকা জমা দেওয়া ও তোলা যাবে স্লিপ দিয়ে। আবার মিনিমাম ব্যালান্স অ্যাকাউন্টে ঢুকলে চালু হয়ে যাবে পরিষেবাগুলি। গোটা প্রস্তাবটি গভীরভাবে খুঁটিয়ে দেখতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
এদিকে, মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে ঋণনীতি ঘোষণা করেছে, তাতে রেপো রেট এবং সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও) অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। রেপো রেট (যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি স্বল্পমেয়াদে ঋণ নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে) ৮ শতাংশই রইল। আর ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি তাদের মোট আমানতের অনুপাতে যে টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে গচ্ছিত রাখে) রইল সেই ৪ শতাংশই। মুদ্রাস্ফীতি একটু কমলেও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, এখনও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা বাঞ্ছনীয়। যদিও তিনি স্বীকার করেন, শাকসবজির দাম ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নিয়ন্ত্রণে থাকায় সার্বিক মুদ্রাস্ফীতিও কমেছে। অনুমান, আগামী তিন মাসে তা আরও কমবে।