রুট নিয়ে আপত্তি, মুর্শিদাবাদে পরিবর্তন যাত্রায় 'বাধা' পুলিশের
রাজ্যে প্রথমবার বিজেপির (bjp) পরিবর্তন যাত্রা (rathyatra) পুলিশের 'বাধা'র মুখে। গেরুয়া শিবিরের তরফে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর রুট নিয়ে আপত্তি থাকায় বেলডাঙায় (beldanga) আটকে দেওয়া হয়েছে এই র
রাজ্যে প্রথমবার বিজেপির (bjp) পরিবর্তন যাত্রা (rathyatra) পুলিশের 'বাধা'র মুখে। গেরুয়া শিবিরের তরফে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে খবর রুট নিয়ে আপত্তি থাকায় বেলডাঙায় (beldanga) আটকে দেওয়া হয়েছে এই রথ। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের আলোচনা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত নিজেদের রুট নিয়ে অনড় বিজেপি।
মুর্শিদাবাদে পরিবর্তন যাত্রার রুট
মুর্শিদাবাদে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় বহরমপুরের পথে ছিল বেলডাঙা, হরিহরপাড়া, নওদা। এমনভাবে বিজেপির তরফে রুট তৈরি করা হয়েছে, যাতে তা জেলার ২২ টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যায়। নদিয়া থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে ফের নদিয়া। তারপর এই রথযাত্রা শেষ হওয়ার কথা ব্যারাকপুরের গঙ্গার ঘাটে।
প্রশাসনের বিকল্প রুট
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপির তরফে রথযাত্রার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই কারণে এদিন সকালে বেলডাঙায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রথের যাত্রা শুরুতে বাধা দেয় পুলিশ। বিজেপি যে রুটে যেতে চাইছে, তা স্পর্শকাতর হওয়ায় অন্য রুটে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে রথযাত্রা বাধা দেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সূত্রের খবর অনুযায়ী নওদা এড়িয়ে রথযাত্রা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপি নির্দিষ্ট রুটে যাচ্ছে না। এদিকে এদিন রথযাত্রায় পুলিশের বাধার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের তরফে শেষ মুহুর্তে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে।
রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে সরকার
রথযাত্রার অনুমতি নিয়ে সরকার কৌশল অবলম্বন করেছে। বিজেপির তরফে রাজ্যের পাঁচটি জায়গা থেকে রথযাত্রার অনুমতি চেয়ে ১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে রথযাত্রা অনুমতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে রুট জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে।
রথযাত্রার শুরু করেছিলেন বিজেপি সভাপতি
৬ ফেব্রুয়ারি নবদ্বীপ থেকে রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর শুরু করা রথযাত্রার নাম ছিল চৈতন্য চেতনা রথ। পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের অন্যপ্রান্ত থেকে রথযাত্রার সূচনা করতে আসতে পারেন অমিত শাহ। তবে এই রথযাত্রাকে বাতিলের দাবি করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।
পরের রথযাত্রাটি শুরু হওয়ার কথা ৮ ফেব্রুয়ারি, সোমবার। ওইদিন কোচবিহার ও গঙ্গাসাগর থেকে রথযাত্রা শুরু হওয়ার কথা। কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া রথযাত্রা উত্তরবঙ্গের আটটি জেলা ছুঁয়ে মালদহে গিয়ে শেষ হবে। ৯ ফেব্রুয়ারির দুটি রথের মধ্যে একটি ঝাড়গ্রাম থেকে এবং অপরটি তারাপীঠ থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমটি যাওয়ার কথা বেলুড়ে আর দ্বিতীয়টি পুরুলিয়ায়।