‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে তাড়া খেলেন বিধায়ক! ক্ষোভের আগুন অধীর-গড়ে
পরিস্থিতি এমনই অবস্থায় পৌঁছয় যে বিধায়কের সামান্য বক্তব্যের পরেই সভা শেষ করে দিতে হয়। বিধায়ক জীবনকৃষ্য সাহাকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে আসতে হয়।
'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক। গ্রামে ঢুকতেই ঘটল বিপত্তি। শেষপর্যন্ত সাধারণ মানুষের তাড়া খেতে হল তাঁকে। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটল, যাতে বিধায়ককে তাড়া করলেন স্থানীয়রা। অধীর চৌধুরীর জেলায় কেন ক্ষোভের আগুন দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে।
শনিবার বড়ঞায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বচসা বাধে। তারপর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাঁকে তাড়া করেন বলে অভিষোগ। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তেলডুমা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিধায়কের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি বাধে গ্রামের যুবকদের।
এদিন বিকালে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এসেছিলেন দিদির দূত হয়ে। সেই সময় তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে গ্রামের শতাধিক যুবক তাঁদের দাবি জানাতে থাকেন। বিধায়ক যাচ্ছিলেন সভাস্থলে। কিন্তু তাঁর পথ আটকে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দাবি জানান এবং তা যাতে পূরণ করা হয়, তার সমর্থনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এরপর স্থানীয় যুবককের প্রতিরোধ সরিয়ে নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয় কর্মীরা বিধায়ককে সভাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানেও বিক্ষোভকারীরা গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। বিধায়করে বক্তব্য চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা বক্স মাটিতে ফেলে দেন। ঘটনাস্থলে বড়ঞা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
পরিস্থিতি এমনই অবস্থায় পৌঁছয় যে বিধায়কের সামান্য বক্তব্যের পরেই সভা শেষ করে দিতে হয়। বিধায়ক জীবনকৃষ্য সাহাকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে আসতে হয়। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন সমস্যার কথা জানাতে এসে তাদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমাদের বলায় হয় পরে আসতে। আমরা এখন বলব না তো, কখন বিধায়ককে আমাদের দাবি জানাব।
যদিও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জানিয়েছেন, গ্রামের ছেলেরা একত্রিত হয়ে অভিযোগ জানাতে এলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তবে অপ্রীতিকর কিছু হয়নি। এলাকার যুবক বন্ধুরা একটি ক্লাব ও খেলার মাঠের দাবি জানিয়েছিলেন। তা নিয়েই বলেছি, এ ব্যাপারে পরে কথা বলব। কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি। আলোচনার মধ্যে দিয়ে সব সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে তিনি জানান।
সভা চলাকালীন এই অসন্তোষের ঘটনা সামনে আসায়, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বলেও অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। সভাচলাকালীন সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় বড়ঞা। মঞ্চে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময়। ফলে উত্তেজনা শুরু হয় এবং দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রেণ আসে পুরো ঘটনা।