
'ডাণ্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব', চরম হুঁশিয়ারি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে দাবি করা এই নেতার
প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। একের পর এক ঘটনা। এমনকি সম্প্রতি হাঁসখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। যা নিয়ে চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় শাসকদলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গাতে মিছিল করছে বাম সহ বিরোধীরা।

সম্প্রতি হাঁসখালি সহ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে ভগবানগোলায় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল বামেদের তরফে। আর তাঁদের আক্রমণ করতে গিয়েই চরম হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার মুখে। এমনকি ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে প্রভাবশালী ওই তৃণমূল নেতার মুখে।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার ব্লক সভাপতি আফরোজ সরকার। সম্প্রতি তাঁরই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে রীতিমত বামেদের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল নেতার মুখে। শুধু তাই নয়, নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা।
আর তা দাবি করে বলছেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে প্রমাণ দেখান। আর এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। তা কিছুতেই সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি ওই তৃণমূল নেতার মুখে।
তাঁর কথায়, মমতাদির নামে উল্টোপাল্টা কথা যদি বেশি বলে, তা হলে কিন্তু আমরা রাস্তায় নামব। শুধু তাই নয়, ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব। এমন ঠান্ডা করব, যে বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি শোনা যাচ্ছে নেতার মুখে। আর ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পরেই চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি যাচাই করে দেখেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা।
তবে এই ভিডিও সামনে আসার পরেই চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একযোগে শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ বাম সহ বিরোধীদের। ইতিমধ্যে প্রভাবশালী ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি বিরোধীদের।
এই প্রসঙ্গে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীই এদের অনুপ্রেরনা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এরা অনুপ্রাণিত বলেও কটাক্ষ বাম নেতার। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও তোলা হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির তরফেও এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
তবে ওই তৃণমূল নেতা ভিডিও বার্তা দেওয়ার পরেও কোনও অনুশোচনা নেই। বরং তাঁর দাবি দলকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। তবে এহেন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর যদি তাঁর পদ যদি চলে যায় তাহলে তাঁর কোনও সমস্যা নেই বলেই দাবি আফরোজ সরকারের।