দলের পদ বিক্রির অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে, ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় অস্বস্তি তৃণমূলে
ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় অস্বস্তি তৃণমূলে
আরও এক অস্বস্তি এসে হাজির তৃণমূলে। এবার পদ বিক্রির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের করিমপুরের বিধায়ক ব্লক সভাপতি করার নামে ৭ লক্ষ টাকার ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু ঘুষ নিয়েও তিনি তাঁকে ব্লক সভাপতি পদ পাইয়ে দিয়ে পারেননি। তারপরই মোটা টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।
মোটা টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে
করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়ের বিরুদ্ধে মোটা টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলেরই এক নেতা। কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পদ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে দলের তহবিলের নামে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছেন বিধায়ক।
টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিধায়ক হুমকি দেন, অভিযোগ
করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন হাসান আলি মণ্ডল নামে এক কর্মী। হাসান আলি প্রাক্তন সেনাকর্মী। তাঁকে তৃণমূলের নতুন ব্লক সভাপতি করা হয়নি উপঢৌকন দেওয়ার পরেও। অভিযোগ, এরপর হাসান আলি মণ্ডল বিধায়কের কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান। তখন তাঁকে বিধায়ক হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব
এই সমস্ত ঘটনা উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল বিধায়ক বিমনেন্দু সিংহ রায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদি আমরা বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তবে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
টাকা দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই, আটক অভিযোগকারী
বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায় বলেন, এর পিছনে প্রচ্ছন্ন ইন্ধন থাকতে পারে। এই মিথ্যা অভিযোগের জন্য কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপার ও করিমপুর থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই ঘটনায় করিমপুর থানার পুলিশ হাসন আলি মণ্ডলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তিনি জানিয়েছেন, আমার কাছে কোনও প্রমাণ নেই। মুখের কথায় বিশ্বাস করে এই টাকা দিয়েছিলাম।
কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তদন্তে পুলিশ সুপার
তিনি জানান, কেউ আমাকে প্ররোচিত করেননি। নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কল্লোল খাঁ জানিয়েছেন, অভিযোগ তো করলেই হল না, অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে যে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। তিনি যদি টাকা দেওয়ার কথা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপার কৃশানু রায় জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ।
২০২৪-এ মোদীকে হটাতে চাই গ্রহণযোগ্য মুখ, বিরোধী ঐক্য নিয়ে সরব প্রশান্ত কিশোর