ছক্কা পাঞ্জা করে রাজ্য চালাচ্ছেন মমতা! ব্রিটিশ আমলের সঙ্গে তৃণমূল শাসনের তুলনা অধীর চৌধুরীর
তৃণমূল নিজেদের এলাকা ভাগ করে নিয়েছে, এখান থেকে মেরে খাচ্ছে তারা। এদিন বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে শাসক দলকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নব জোয়ার যাত্রাকে সামাল দেওয়াই নয়, সেখানে যাতে লোক হয়, সেই দায়িত্ব নিয়েছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমলে যেমন ভাগ করে নেওয়া হতো জমিদারি, এটা তার এলাকা সেখান থেকে যা ট্যাক্স হবে সেটা রাখো এবং একটা অংশ ব্রিটিশ সরকারকে দাও। সে একই জিনিস করছে তৃণমূল কংগ্রেস। একটি এলাকা ইজারা দিয়ে বলছে, ওই এলাকায় যা ধান্দা হবে তার একটা অংশ কলকাতায় পাঠাও।
তিনি বলেন, এই জন্যই আজ বলা হচ্ছে, তোমার এলাকায় এ ঢুকছে কেন। দিদি আজকে এলাকা ভাগ করে দিয়েছে। আর সে ভাগাভাগিতে কেউ যেন কারও এলাকায় যেতে না পারে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বহরমপুরে অরূপ রায় ইসুতে মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
তৃণমূল সুপ্রিমোর এগরা যাত্রা নিয়ে মত পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, দিদি ভয়ে যাচ্ছেন না এগরায়। মানুষের সামনে যাওয়ার ক্ষমতা নেই, জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ওখানকার লোকাল তৃণমূল নেতারা বলেছেন, দিদি সব আমরাই করেছি। লাইসেন্স দিয়েছিলাম। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সেই লাইসেন্স দিয়েছিল।
তিনি বলেন, পুলিশ টাকা খেয়ে বাড়িকে কারখানা বানাতে দিয়েছিল। আর কারখানার মালিক বাজি বিক্রি করে টাকা রোজকার করেছিল। এই সুন্দর সোনার সংসার বোমা বিস্ফোরণে ভেঙে গেল। দিদি সেখানে গিয়ে কী বলবেন, তাই যাচ্ছেন না, পালাচ্ছেন। কটাক্ষ অধীর চৌধুরীর।
কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলেন, আজ দিদি চাইছেন, তাঁর নাম গিনিস বুকে উঠুক। কে শূন্য পেল বা কেউ ১০০ পেল সেটা দেখার দরকার নেই। কেউ যদি একশো পায় একটা কেটে দেবে দুটো শূন্য দিয়ে দেবে। আর কেউ যদি শূন্য পায় যদি তার আগে ১০ লাগিয়ে দেবে। দিদির কেরামতি বোঝা মুশকিল। দিদি এই কেরামতি করেই বাংলায় টিকে আছেন।
তিনি বলেন, দিদি যাকে আমরা বলি ছক্কা পাঞ্জা, দিদি রাজ্যে এই ছক্কা পাঞ্জা করেই ক্ষমতায় রয়েছেন। সারা ভারতবর্ষে মানুষ দেখেছেন। এটুকুই বলতে পারি, উচ্চ মাধ্যমিকে শূন্য পেয়েও প্রাথমিক শিক্ষকতা চাকরি করছেন যা নিয়ে হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে, তা নিয়েই এই মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, শুধু নব জোয়ার যাত্রাকে সামাল দেওয়া নয়, নবজোয়ার যাত্রায় যেন লোকের ভিড় হয় সেটাও দেখার দায়িত্ব হচ্ছে পুলিশের। এটা নিশ্চিত করতেই সেই জেলা ও আশেপাশের জেলা, সর্বত্র যত সিভিক ভলান্টিয়ার আছে তাদেরকে নিয়ে হাজির করা হচ্ছে।
অধীর চৌধুরী দাবি করেন, ১০০ কিমি দূর থেকেও লোক নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি বলেন, জেলা পুলিশের কর্তব্য হল, খোকাবাবু যেন ব্যর্থ না হয়। খোকাবাবু যদি সফল না হয় সেই অফিসারের চাকরিও বারোটা বাজবে, বহরমপুরে বলেছেন অধীর চৌধুরী।