রাস্তা আটকে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা! পঞ্চায়েতের আগে ক্রমশ উত্তপ্ত বাংলা
ফের রাজ্যে চলল গুলি-বোমা! নদীয়ার দাপুটে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। শুধু তাই নয়, বোমা ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নেতার। মৃত্যু ওই ব্যক্তির নাম মতিরুল বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক
ফের রাজ্যে চলল গুলি-বোমা! নদীয়ার দাপুটে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। শুধু তাই নয়, বোমা ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নেতার। মৃত্যু ওই ব্যক্তির নাম মতিরুল বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই মতিরুলকে গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় একাংশের। এমনকি দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে গোষ্ঠী কোন্দল ইস্যুতে একেবারে স্পিকটি নট শাসকদল। তাঁদের দাবি পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক ধরা পড়বে বলেই মত তৃণমূলের। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের। তবে এই ঘটনার সঙ্গে দৃষ্টান্ত মূলক শান্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে যে কিছু নেই তা ফের একবার স্পষ্ট হল। শুধু তাই নয়, তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দল যে কোন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে সেটাওএই ঘটনা প্রমাণ করে বলে দাবি বিজেপির।
জানা যাচ্ছে, নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম। এলাকাতে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা মতিরুলের রয়েছে বলেই খবর। আজ বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত একটি কাজে মুর্শিদাবাদের দিকে যাচ্ছিল সে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার সময়েই অন্ধকার একটি জায়গাতে মতিরুলের পথ আটকানো হয় বলে দাবি। এবং সেখানেই এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয় বলে দাবি। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করতে বোমা ছোঁড়া হয় বলেও দাবি।
জানা যাচ্ছে, নওদা থানার অন্তর্গত শিবনগর এলাকাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানায়।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন! আর সেই নির্বাচনের আগে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলা। কার্যত প্রত্যেকদিনই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু কিংনা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। এমনকি প্রত্যেক ঘটনাতে অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। কারণ কোনও না কোনও ভাবে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের। আর এর মধ্যেই ফের একবার রাজ্যে চলল গুলি। রক্তাতব হল বাংলা।