আপাতত ওমিক্রন মুক্ত বাংলা, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল সাত বছরের বালক
ওমিক্রন মুক্ত বাংলা
বিশ্বের ৭৭টি দেশের সঙ্গে ভারতেও থাবা বসিয়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। দক্ষিণ ভারত, রাজস্থান, দিল্লিতে একাধিক ব্যক্তির দেহে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। তবে এই দিক দিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে বাংলা। যদিও দিন দুয়েক আগেই মুর্শিদাবাদের ৭ বছরের এক শিশুর দেহে ওমিক্রনের হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এ যাত্রা বাংলার ফাঁড়া কাটল বলেই সামনে এসেছে খবর।
নেগেটিভ ওমিক্রন আক্রান্ত
স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওমিক্রণ সংক্রামিত শিশুর লালা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর এই রিপোর্ট পেশ করার পর যথেষ্ট স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন শিশুর পরিবারের লোকজন এবং স্বাস্থ্য দফতর। সাত বছরের এই শিশুর শরীরে ওমিক্রণ সংক্রমণের খবর স্বাস্থ্য দপ্তর এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মালদা জেলা তথা গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় গোটা রাজ্য জুড়ে। কিন্তু বর্তমানে আতঙ্ক আপাতত নেই বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
আক্রান্ত শিশুর গতিবিধি
যে শিশুর দেহে ওমিক্রনের হদিস পাওয়া নিয়ে দুদিন ধরে গোটা বাংলা তোলপাড়, সম্প্রতি সে আবুধাবি থেকে হায়দ্রাবাদ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মালদা জেলার কালিয়াচকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই তাকে তার বোন এবং বাবা-মা সহ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটিকে স্পেশাল আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তবে অমক্রন নেগেটিভ হওয়ায় তাকে ও তার পরিবারকে আপাতত হাস্পাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের সবাইকে আগামী এক সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অন্য এক দেহে ওমিক্রনের সন্দেহ
অবশ্য এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের বাসিন্দা এক ব্যক্তির দেহে ১০ ডিসেম্বর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল। এবং তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা নিশ্চিত করার জন্য।
বাংলার করোনা গ্রাফ
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন বলে খবর। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে করোনভাইরাস মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫০৬ জন। তবে নয়া প্রজাতির করোনা অর্থাৎ ওমিক্রন ঠেকানর জন্য সব রকম ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে করোনা বিধি যাতে মেনে চলা হয় তার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসনও।