করোনার মাঝেই রাজ্যে ‘স্ক্রাব টাইফাস'এর হানা, মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত ৭
করোনার মাঝেই রাজ্যে ‘স্ক্রাব টাইফাস'এর হানা, মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত ৭
কোরোনার মাঝেই রাজ্যে হানা দিয়েছে 'স্ক্রাব টাইফাস' এর মতো মারণ রোগ। মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত ৭ জন। আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলায় এর আগেও হানা দিয়েছে এই মারণ রোগ। মূলত বর্ষাকালে পোকা-মাকড়ের মাধ্যমেই এই রোগের জীবানু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তার জেরে আক্রান্তের প্রথমে জ্বর আসে। তারপর একে একে শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।
শরীরে কোনও কোনও অংশে ছেঁকার মতো দাগ, ক্লান্তি ভাব, ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ ছাড়াও হতে পারে বমি ও গায়ে ব্যাথা। এমনকি চোখের পিছনে অসহ্য ব্যাথাও হতে পারে। এরপরে শুরু হয় এক এক করে শরীরের নানা অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া। একসময় রোগী কোমাতে চলে যেতে পারে বা তার মৃত্যুও হতে পারে। সাধারনত বড়দের অপেক্ষা ছোটদের এই জীবানু বেশি আক্রমণ করে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে যে ৭জন রোগীর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে তাদের মধ্যে ৫জন শিশু। এর আগেও রাজ্যের একাধিক জেলায় থাবা বসিয়েছে এই মারণ রোগ। তাতে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মারাও গিয়েছিল।
এই রোগের বিষয়ে সতর্কও করেছে স্বাস্থ্য দফতর, জ্বর ১০২-৩ ডিগ্রি ছাড়ালেই বা পাঁচ দিনের বেশি স্থায়ী হলেই টাইফয়েড ও ডেঙ্গির পরীক্ষার পাশাপাশি স্ক্রাব টাইফাসের পরীক্ষা করাতে হবে। যদিও করোনা পরিস্থিতিতেও জ্বর আসে তাহলেও স্ক্রাব টাইফাস পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। স্ক্রাব টাইফাসের কারণে হওয়া জ্বর আগে থেকে ঠেকানো সম্ভব না হলেও এই রোগের কিন্তু চিকিৎসা রয়েছে। ঠিকঠাক চিকিৎসা হলে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। তাই ঘরে বসে অবহেলা নয়, সমস্যা থাকলে জানাতে হবে চিকিৎসককে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করতে লকডাউন সফল করতে পুলিশি উদ্যোগ
{quiz_300}