হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ড: ধৃত ব্রজগোপালের সঙ্গে তাঁর বাবা-মা'কেও জেরা সিবিআইয়ের
হাঁসখালি গনধর্ষণ-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে হাঁসখালির ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এখনও বেশ
হাঁসখালি গনধর্ষণ-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে হাঁসখালির ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এখনও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পাননি তদন্তকারীরা। আর সেই সমস্ত প্রশ্নের জট খুলতেই কার্যত মাস্টারস্ট্রোক সিবিআইয়ের।
সমরেন্দু গয়ালি'কে তলব করল সিবিআই। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। দফায় দফায় তাঁকে জেরা ঘটনার জট খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এবার তাঁর বাবা সমরেন্দু গয়ালিকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। শুধু সমরেন্দুই নয়, ব্রজগোপালের মাকেও ডাকা হয় বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরেই সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে দুজনকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
এমনকি ধৃত ব্রজগোয়ালের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও দুজনকে সিবিআই আধিকারিকরা জেরা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন ধর্ষকের সঙ্গে তাঁর বাবা-মা'কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেকগুলি প্রশ্নের উত্তর খুলে যাবে। শুধু তাই নয়, গণধর্ষণ-কাণ্ডের অনেক তথ্যই জানতে পারা যাবে বলে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বলে রাখা প্রয়োজন, ঘটনার পর থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সমরেন্দু গয়ালি এবং তাঁর স্ত্রীয়ের। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এলাকা ছাড়া ছিল দুজনই। সম্প্রতি সমরেন্দু গোয়ালির খোঁজ পান সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, ঘটনার পর থেকে নদিয়ার বগুলায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন সমরেন্দু।
আর এরপরেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্যে তলব করা হয়। আর সেই সিবিআই নোটিশ পাওয়া মাত্র আজ মঙ্গলবার অস্থায়ী ক্যাম্পে সকালেই পৌঁছে যান অভিযুক্তের বাবা-মা। আর এরপর থেকে দফায় দফায় তাঁদের জেরা করছেন তদন্তকারীরা। ধৃত ব্রজগোপাল এবং তাঁর বাবা-মা'কে মুখোমুখি বসিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
ঠিক কোথায় বার্থ ডে পার্টি চলছিল, বাড়িতে না অন্য কোথায় সে বিষয়ে সমরেন্দু গয়ালি'র কাছ থেকে তথ্য চাইতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। ওই বার্থ ডে পার্টিতে নির্যাতিতা তরুনী নিজে থেকে এসেছিলেন নাকি তাঁর ছেলে কিংবা পরিবারের থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়? নির্যাতিতা তরুণীকে তাঁরা চেনেন কিনা। ঘটনার সময় সমরেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী কোথায় ছিলেন এই সমস্ত বিষয়েই তথ্য জানার চেষ্টা করবেন আধিকারিকরা।
শুধু তাই নয়, ঘটনার সময় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন সমরেন্দুকে করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে শশ্মানে পুড়িয়ে দেওয়া, ডাক্তার দেখানো সেই সময় তাঁদের এবং প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন সিবিআই। ফলে এমন হাজারো তীক্ষ্ণ প্রশ্নের মুখোমুখি যে ব্রজগোপালের বাবা-মা'কে পড়তে হবে তা কার্যত স্পষ্ট।