
নবী বিতর্ক নিয়ে প্রতিবাদের জের, হাওড়ার পর এবার বদলি মুর্শিদাবাদের একাধিক পুলিশ কর্তা
নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে বাংলার নানা জায়গায় প্রতিবাদ কম হিংসার ছবি বেশি করে ফুটে উঠেছে। প্রথমে হাওড়ার অঙ্কুরহাটিতে এই ঘটনা ঘটে। পিরে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদে। সেখানেও পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার নেয়। এর জের গিয়ে পড়ল জেলার পুলিশ কর্তার উপর। তাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারই।

বদলি পুলিশ কর্মকর্তা
শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খুরশিদ আলমকে রেজিনগর থানায় বদলি করা হয়েছে এবং রেজিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অঞ্জন বর্মণকে জেলা পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।

বদলি হয়েছে ডোমকল থানার কর্তাও
এদিকে, ডোমকল থানার এসআই নির্মল দাসকে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তা কাওসার হোসেন মণ্ডলকে ডোমকল থানায় বদলি করা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদ জেলার পরিস্থিতি
মুর্শিদাবাদ জেলায় বিক্ষোভকারীরা উত্তাল হওয়ার কয়েকদিন পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাজীনগর ছিল অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা।

আগেও হয় বদলি
এর আগে, নাকাশিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক সোমনাথ ভট্টাচার্যকেও ১২ জুন (রবিবার) নদিয়ায় সহিংস বিক্ষোভের জন্য বদলি করা হয়েছিল। তাকে বিধাননগর কমিশনারেটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন বিধাননগর কমিশনারেটের বিশ্বজিৎ ঘোষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বদলির ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। রোববার নাকাশিপাড়ায় অস্থিরতার কারণে এ পরিবর্তন হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার বেথুয়াডহরি রেলস্টেশনে একটি লোকাল ট্রেনে পাথর ছোঁড়া হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ আধিকারিকদেরও হাওড়ায় বদলি করা হয়।
বিজেপির দুই প্রাক্তন মুখপাত্রের নবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে বিশ্ব জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ইরান ইতিমধ্যে সরকারিভাবে মন্তব্যের নিন্দা করেছে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল আমেরিকা। নবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, 'দেখে ভালো লাগছে, দলটি প্রকাশ্যে এই মন্তব্যের নিন্দা করেছে।'
বিজেপির প্রাক্তন দুই মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দলের বিতর্কিত মন্তব্যে ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রাদায়িক অশান্তি হয়। বিতর্কের রেশ দেশ ছাড়িয়েও বিদেশের মাটিতে পড়ে। বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে। তবে কূটনৈতিকভাবে ভারত চাপে পড়ার আগেই বিজেপি নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। বিজেপি দল থেকে তাঁদের বহিষ্কার করে। কেন্দ্র সরকার বিবৃতি দিয়ে জানায়, ভারত প্রতিটি ধর্মকে সম্মান করে। তারপরেও বিতর্ক থামেনি।