'নাক খত দিয়ে বেরিয়ে যাব'! রাজনীতির থেকে মানবিকতাকে উপরে রেখে মমতা ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ
'নাক খত দিয়ে বেরিয়ে যাব'! রাজনীতির থেকে মানবিকতাকে উপরে রেখে মমতা ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ
সভা চলছিল যেভাবে চলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন কার্যত ভাষণ থেকে আগুন ঝড়াচ্ছেন। এমন সময় তাল কাটলো, কয়েকজন উঠে দাঁড়াতেই। মঞ্চ থেকে মমতা অনুরোধ করতে থাকেন, কিছু জানাবার হলে যেন তাঁরা চিঠি মারফৎ জানান। পুলিশের হাতে চিঠি দিলেই তা পৌঁছে যাবে। উঠে দাঁড়িয়ে 'মিটিং ডিসটার্ব ' না করার দাবি জানিয়ে সরব হন মমতা।
'কারো কিছুর বলার থাকলে চিঠি হাতে ধরিয়ে দেবেন'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সভার মাঝে তাল কাটতেই বলেন, এত উন্নয়নের পরও যদি কারোর কিছু বলার থাকে, তাহলে চিঠি দিয়ে তা যেন বলা হয়। কার্যত আর্তির সুরে মমতা বলেন, 'মিটিং ডিসটার্ব করলে ভালো লাগে না।' তিনি বলেন , উদয় অস্ত তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত, তারপরও এমন ঘটনা অনভিপ্রেত।
'নাকখত দিয়ে চলে যাব'
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই ঘটনার রেশ ধরে বলতে থাকেন, 'রাজনীতির থেকেও মানবিকতা আমার সবচেয়ে বড় কাজ'। তিনি বলেন, রাজ্যে যা উন্নয়ন হয়েছে, তা যদি অন্য রাজ্যে কোথাও হয়ে থাকে, তাহলে নাক খত দিয়ে চলে যাব।
স্বাস্থ্যসাথীতে পরিষেবা না দিলে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য় এদিন সাফ জানান, তাঁর সরকার যে উন্নয়নের কাজ করেছে তাতে স্বাস্থ্য সাথী অন্যতম সফল কাজ। আর এই প্রকল্পের আওতায় যদি কোনও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পরিষেবা না দেয়, তাহলে লাইসেন্স বাতিলের হাতিয়ার সরকারের কাছে আছে, বলে তিনি জানান। স্বাস্থ্যসাথীকে পরিষেবা না পেলে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হতেও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ট্যাব , আয়ুষ্মান থেকে পরিযায়ী ইস্যুতে সরব মমতা
বিজেপিকে চাচাছোলা ভাষায় মমতা টার্গেট করে বলেন, 'কীসের আয়ুষ্মান ? ওরা ৬০ টাকা দেবে, ৪০ টাকা আপনাকে দিতে হবে। আর স্বাস্থ্যসাথীতে ১০০ টাকা সরকার দেবে।' পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য ৩০ কোটি টাকা খরচ করে ৩০০ ট্রেন বুক করে পরিযায়ীদের ঘরে এনেছে। বিজেপি সরকার এক পয়সাও দেয়নি। শুধু তাই নয়, শ্রমিকরা অনেকেই এখানে এসে কাজও করছেন বলে জানান মমতা। পাশাপাশি, মমতা বলেন, ১২ লক্ষ ট্যাব একসঙ্গে তাংর সরকার কিনতে পারছিলনা বলে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য অ্যাকাউন্টে ১০হাজার টাকা তিনি পাঠিয়েছেন। তাঁর আশা এই টাকার সদ্ব্যবহার করে পড়ুয়ারা উপকৃত হবেন।