তৃণমূল হার মানল অবশেষে! নবাব-গড়ে উলটপুরাণ ঘটিয়ে পঞ্চায়েত দখল বাম-কংগ্রেসের
তৃণমূল হার মানল অবশেষে! নবাব-গড়ে উলটপুরাণ ঘটিয়ে পঞ্চায়েত দখল বাম-কংগ্রেসের
নবাব-গড় হালে পরিণত হয়েছিল অধীর-গড়ে। কিন্তু ২০১৬-র পর থেকেই অধীর-গড় মুর্শিদাবাদে হানা দেয় তৃণমূল। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ঠেকাতে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস হাত ধরাধরি করে ভোটে লড়েছিল। কিন্তু তারপর কংগ্রেসের ঘাঁটি মুর্শিদাবাদেও হানা দেয় তৃণমূল। একপ্রকার হাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে ২০১৯-এর ভোটে বরহমপুর ধরে রাখেন অধীর চৌধুরী।
পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের ভোটাভুটিতে তৃণমূলের হার
অধীরের মুর্শিদাবাদে এখন তৃণমূল-রাজ। আবার বিজেপিও ফাঁক গলে ঢুকে পড়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সাফ কংগ্রেস। বামেরাও হাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বাম ও কংগ্রেস। তার একটু আভাস মিলল সাম্প্রতিক অনাস্থা ভোটে। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলের ভোটাভুটিতে তৃণমূলকে হারিয়ে ছাড়ল বামফ্রন্ট কংগ্রেসের জোট।
মুর্শিদাবাদের বুকে পঞ্চায়েত দন বাম ও কংগ্রেসের
মুর্শিদাবাদের লালগোলের দেওয়ানসরাই গ্রাম পঞ্চায়েত এতদিন ছিল তৃণমূলের দখলে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এই পঞ্চায়েতে ২০১৮ সাল থেকে ক্ষমতা দখলে রেখেছে তৃণমূল। বাম ও কংগ্রেস এক হতেই ফের এই পঞ্চায়েতে পাত্তাড়ি গোটাতে হল তৃণমূলকে। বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থীর কাছে হেরে পঞ্চায়েতের দখল খোয়াল তৃণমূল।
দেওয়ানসরাই গ্রামে পঞ্চায়েতের ২০১৮-র ফলাফল
লালগোলার দেওয়ানসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৪টি আসন। তার মধ্যে ১০টিতে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল ৯টি আসনে। আর বাকি পাঁচটি আসন দখল করে সিপিএম। ম্যাজিক ফিগার না থকালেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোর করে পঞ্চায়েত দখলের অভিযোগ ওঠে। প্রায় একটা মেয়াদ সংখ্যালঘু হয়েও তৃণমূলের বোর্ড চলে গেল।
নতুন প্রধান নির্বাচিত হলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী
চার বছর পর সেই লালগোলার দেওয়ানসরাই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নিল বাম ও কংগ্রেস জোট। চার বছর পর গত জুলাই মাসে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান আবদুল কাদির অপসারিত হন। ২৫ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান অপসারণের পর এদিন আস্থা ভোটে জিতে নতুন প্রধান নির্বাচিত হলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী সন্ধ্যারানি দাস।
জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূলের ঝুলিতে একটি বাড়তি ভোট
তৃণমূলকে হারাতে বাম ও কংগ্রেস এক হয়েছিল এই পঞ্চায়েতে। সংখ্যার বিচারে তারা এগিয়ে ছিলেন। সেইমতো জোট প্রার্থী সন্ধ্যারানি দাস ১৩-১১ ভোটে জিতে প্রধান নির্বাচিত হলেন। এদিন আস্থা ভোটে আবার বাম ও কংগ্রেস জোটের একটি ভোট তৃণমূলের দিকে গিয়েছে। তৃণমূলের ১০ জন সদস্য এই পঞ্চায়েতে। কিন্তু তাছাড়াও একটি বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। বাম ও কংগ্রেস জোটের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩টি। অর্থাৎ একটি কম।
ভোটার-আধার লিঙ্ক আছে কি? নইলে পড়তে হবে বড় সমস্যায়, জেনে নিন কেন?