কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে তৃণমূলের বিধায়কের বাড়ি এবং ফ্যাক্টারিতে তল্লাশি আয়কর দফতরের
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দিল ইনকাম ট্যাক্ট ডিপার্টমেন্টের। বুধবার সকালে অতর্কিতেই বিধায়কের বাড়ি সহ একাধিক জায়গাতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এরপর প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দিল ইনকাম ট্যাক্ট ডিপার্টমেন্টের। বুধবার সকালে অতর্কিতেই বিধায়কের বাড়ি সহ একাধিক জায়গাতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এরপর প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে বাড়ি সহ বিধায়কের একাধিক ফ্যাক্টারি এবং অফিসে কেন্দ্রীয় অফিসারদের তল্লাশি চলে বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই অভিযান ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজাও।
প্রথমে একটি ফ্যাক্টারিতে হানা দেয় ইনকাম ট্যাক্স
জানা গিয়েছে, বুধবার বেলা ১১ টা নাগাদ সামসেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরীতে হানা দেন ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা। কেউ বুঝে ওঠার আগেই বিএসএফ জওয়ানরা ওই ফ্যাক্টারি গোটা ঘিরে ফেলেন। কাউকেই ঘেঁষতে দেওয়া হয় না ফ্যাক্টারির কাছাকাছি এলাকাতে। আর এরপরেই ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের বেশ কয়েকজন আধিকারিক সেখানে আসেন। একের পর এক গাড়িতে তাঁরা আসেন বলে জানা যাচ্ছে। ফ্যাক্টারির ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা
তবে আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক নাজমি আলম বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমানের বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, তাঁর একাধিক জায়গাতে বুধবার সকাল থেকে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের তদন্তকারীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে খবর। এমনকি সুতিতে জাকির হোসেনের বাড়ি সহ রঘুনাথগঞ্জে তাঁর অফিসে একযোগে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। অন্তত ১০ থেকে ১১ জনের একটি আয়কর দফতরের একটি টিম এই তল্লাশি চলে বলে খবর।
একাধিক জায়গাতে চলছে তল্লাশি
এমনকি তৃণমূলের বিধায়কের সুতিতে একটি বিড়ি ফ্যাক্টরি রয়েছে। সেখানেও আয়কর দফতরের তরফে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর। কিন্তু হঠাত করে কেন এমন ভাবে প্রাক্তনমন্ত্রীর বাড়ি সহ ফ্যাক্টারিগুলিতে এভাবে হানা দিল আয়কর দফতর তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। এমনকি বিধায়ক জাকির হোসেনও এই বিষয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। তবে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ক্ষোভ ছড়িয়ে তৃণমূল অন্দরে।
তবে আয়কর দফতরের এই তল্লাশি ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে তৃণমূল অন্দরে। জেলা এক নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিজেপি বারবার ব্যবহার করে আসছে। কখনও সিবিআই তো ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার ওনার বিরুদ্ধে কোনও কিছু না পেয়ে এবার আয়কর দফতরকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও বিজেপির তরফে সম্পূর্ণ ভাবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পালটা বিজেপির দাবি, অন্যায় না করলে সমস্যার কি আছে...।