মুর্শিদাবাদে জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচাল ষোড়শী কিশোরীর
মুর্শিদাবাদে জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচাল ষোড়শী কিশোরীর
কলকাতার কোনও নামীদামী সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল নয়, প্রত্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলার মেডিক্যাল কলেজের এক জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল ষোড়শী কিশোরীর। এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন মেডিক্যাল কলেজের পাঁচজন সার্জেন্ট ও অ্যানাস্থেসিয়ার একটি দল।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা কালীনগরের বাসিন্দা শোভা খাতুন অস্টিও সার্কোমা বা হাড়ের টিউমারে আক্রান্ত ছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে পা পিছলে পড়ে যায় শোভা। তারপর থেকেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসা করালেও সুস্থ হচ্ছিল না সে। তাই বাধ্য হয়ে দুমাস আগে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই তার হাড়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। হাড়ের টিউমার শুধু ক্যানসারে পরিণত হয়নি তা বেশ কিছুটা ছড়িয়েও পড়ে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি অমিও কুমার বেরা বলেন, 'এই অস্ত্রোপচারের জন্য পাঁচজন সার্জেন্ট ও অ্যানাস্থেসিয়া দল কাজ করেছে। এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার এর আগে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হয়নি। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে পাঁচজন অর্থো সার্জেন ও অ্যানাস্থেসিয়া দলের সদস্যরা অপারেশন করে টিউমারের অংশ সম্পূর্ণ বাদ দেয়। সেই জায়গায় বসানো হয়েছে কৃত্রিম প্লেট বসানো হয়েছে। ওই প্লেটের দাম পৌনে দু'লাখ টাকা। যা সম্পূর্ণ নিখরচায় বসানো হয়েছে। প্রাণের ঝুকি ছিল কিন্তু আপাতত সুস্থ রয়েছেন রোগী। শোভার মা আমিনা বিবি জানান আমার মেয়ে আমার মেয়ের প্রাণ ফেরানোর জন্য চিকিৎসকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
পুরোপুরি খুলে দেওয়া হচ্ছে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর