প্রথমবারে রক্ষা পেলেও দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ আবুল হাসনাৎ খান
প্রয়াত জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ আবুল হাসনাত খান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল পঁচাওর। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রয়াত জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ আবুল হাসনাত খান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল পঁচাওর। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রাক্তন সাংসদের মৃত্যুর খবর ফরাক্কায় এসে পৌঁছাতেই এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে ফরাক্কায় সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মইনুল হকের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসায় করোনা ধরা পড়ে। আইসিতে রাখা হয় প্রাক্তন সাংসদকে। লিভার, কিডনিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। করোনা থেকে মুক্ত পাওয়ার পর দ্বিতীয়বার তিনি করোনা আক্রান্ত হন।
এদিন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ফরাক্কা বিধানসভার চারবারের সিপিআইএমের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। জঙ্গিপুর লোকসভার পরপর দুবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
রাজ্য বিড়ি ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলা সিটুর প্রাক্তন সভাপতি। জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক মন্ডলীর প্রাক্তন সদস্য ছিলেন।
ফরাক্কার উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি অধ্যাপক সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাক্তন সাংসদ আবুল হাসনাৎ খানের মৃত্যুতে জেলাজুড়ে রাজনৈতিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
অন্যদিকে, দৈনিক করোনা সংক্রমণের সঙ্গে বাংলায় বাড়ছে করোনাজয়ীর সংখ্যাও। তা খানিক স্বস্তি দিলেও মৃতের সংখ্যায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
একদিনে রেকর্ড মৃত্যু হল বাংলায়। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ১০০ ছুঁতে চলেছে। বাংলায় করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে বাংলায় মহামারীর রূপ নিচ্ছে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১৭৪১১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতদিন পর্যন্ত ছিল ৮ লক্ষ ১০ হাজার ৯৫৫ জন।
এদিন ১৭৪১১ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৬৬ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৩৪৪। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের।