hanskhali case: হাঁসখালি-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজের 'প্রভাবশালী' বাবা সমরেন্দ্রকে গ্রেফতার করল CBI
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! দফায় দফায় জেরা শেষে ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা। সম্প্রতি সমরেন্দ্রের খোঁ
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! দফায় দফায় জেরা শেষে ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা। সম্প্রতি সমরেন্দ্রের খোঁজ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
আর এরপরেই তাঁকে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে। এরপর থেকে লাগাতার জেরা শেষে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের প্রভাবশালী এই পঞ্চায়েত সদস্যকে।
শুধু সমরেন্দ্র গয়ালিই নয়, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর এক বন্ধুকে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম পীযূষ ভক্ত বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ধৃত পীযূষকে সিবিআই র্যাডারে রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। আজ শুক্রবার তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে ধৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার অন্যতম বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
হাঁসখালির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ঝড় ওঠে। সম্প্রতি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সঠিক ভাবে তদন্ত হয়নি, এমনকি ঘটনার খবরও বা কেন পুলিশ পায়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যদিও এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত চলছে।
যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্রজ গোয়ালিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশই। তব বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে মূল অভিযুক্ত এই ব্রজ।
তদন্তভার নেওয়ার পর থেকেই একাধিকবার ব্রজকে জেরা করে সিবিআই। তাঁকে জেরা করেই তাঁরই এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে সিবিআই। শুধু তাই নয়, তদন্তের স্বার্থে একাধিক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালির নাম বারবার পান তদন্তকারীরা।
আর এরপরেই লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার খোঁজ পান তাঁরা। গত কয়েকদিন ধরে একাধিকবার সমরেন্দ্র গোয়ালিকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এমনকি ব্রজের মা'কেও জেরা করা হয়। এমনকি একসঙ্গেও জেরা করা হয়। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে সমরেন্দ্র গয়ালি তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি। এমনকি মিথ্যা তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এরপরেই সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও এই বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ছেলের কুকীর্তি ঢাকতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সামনে এসেছে সমরবাবুর বিরুদ্ধে। এমনকি স্থানীয় মানুষদের ভয় দেখানোর মতো মারাত্মক অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।