সুকান্ত-শুভেন্দুর অস্বস্তি বাড়িয়ে সরলেন বিজেপির এই বিধায়ক, বিদ্রোহী আরও এক
রাজ্যে ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি! মুখ থুবড়ে পড়েছে সংগঠনও। এই অবস্থায় নিজেদের শক্তঘাঁটি আসানসোলেও ভরাডুবি হয়েছে। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনেও ফলাফল মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। আর এরপরেই দলের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ন
রাজ্যে ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি! মুখ থুবড়ে পড়েছে সংগঠনও। এই অবস্থায় নিজেদের শক্তঘাঁটি আসানসোলেও ভরাডুবি হয়েছে। বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনেও ফলাফল মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। আর এরপরেই দলের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নেতৃত্ব।
নাম না করে সুকান্ত-শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। অপরিণত নেতৃত্বের কারণেই এই অবস্থা বলেও তোপ দাগেন তিনি। আর এই অবস্থার মধ্যেই ফের একবার অস্বস্তি বঙ্গ বিজেপির।
সরে দাঁড়ালেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। শুধু তাই নয়, রাজ্য কমিটির আরও দুই সদস্যও আজ রববার পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র-ও সরে দাঁড়ালেন। দলের মধ্যে একনায়কতন্ত্র চলছে, এই অভিযোগে দুই বিধায়কের রাজ্য কমিটির পদ থেকে ইস্তফা বলে জানা যাচ্ছে। এদিন একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন বাণী গঙ্গোপাধ্যায়ও। যিনিও মুর্শিদাবাদের দক্ষ সংগঠক বলে জানা যাচ্ছে।
এই ঘটনায় চরম অস্বস্তি বঙ্গ বিজেপিতে। কিন্তু কি কারণে এই সিদ্ধান্ত? জানা যাচ্ছে, জেলা মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষের অভিযোগ, দলের মধ্যে একনায়কতন্ত্র এবং স্বেচ্ছাচারিতা চলছে বলেও অভিযোগ।
তিনি জানান, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের জন্য ৫১ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে ১৮ জনের নামই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি বিজেপি বিধায়কের। শুধু তাই নয়, ইচ্ছামতো সেখানে লোক ঢোকানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এমনকি এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে গৌরীবাবু একাধিকবার সবটা জানিয়েছেন বলে দাবি। কিন্তু এরপরেই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। এদিন রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গৌরীশংকর ঘোষ। তবে বিজেপি না ছাড়লেও জেলায় আলাদা ভাবে সংগঠনকে মজবুত করতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।
কার্যত একই মত আরও এক বিজেপি বিধায়কের। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে তুঘলকি আচরণ করার অভিযোগ বিধায়ক সুব্রত মৈত্রের। তাঁর দাবি, জেলা বিজেপি সভাপতি নিজের ইচ্ছামতো চলছেন। কারোর কথা শোনার প্রয়োজন করেন না। আর সেই কারণেই দলের ফলাফলের এহেন পরিনতি বলেও দাবি বিধায়কের।
তবে এভাবে দুই বিধায়কের হঠাত বিদ্রোহে জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের মতো জেলাতে একসঙ্গে দুই বিধায়কের তোপে প্রশ্নের মুখে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
তবে এই ঘটনার পরেই ফেসবুকে বোমা ফাটিয়েছেন অনুপম হাজরা। কেন এমন অবস্থা বঙ্গ বিজেপির তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।