দেশের নাগরিকদের নিয়েও বিভাজনের রাজনীতি করছে তৃণমূল, বহিরাগত প্রশ্নে সরব বিজেপি
যদি কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অমিত শাহ বহিরাগত হয়, তাহলে পিকে কিংবা শাহরুখ খান কোথাকার? প্রশ্ন তুললেন রানাঘাটের বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার।
যদি কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অমিত শাহ বহিরাগত হয়, তাহলে পিকে কিংবা শাহরুখ খান কোথাকার? প্রশ্ন তুললেন রানাঘাটের বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার। সোমবার তাহেরপুরে দলের সাংগঠনিক কর্মিসভায় এসে তিনি আরও বলেন, রাজনীতিকে আজ তৃণমূল কংগ্রেস কোন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে! দেশের নাগরিকদের নিয়েও বিভাজনের রাজনীতি করছে তৃণমূল।
রাজ্যভিত্তিক বিভাজন, আঞ্চলিকতা, জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতাসহ তুষ্টিকরণের নিম্ন রুচির রাজনীতি এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসই আমদানি করেছে। নানা ভাষা, নানা মত, নানা বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ প্রগতিশীল রাষ্ট্র ভারতবর্ষ। আমাদের প্রথম ও শেষ পরিচয় আমরা ভারতীয়,এখানে প্রাদেশিকতা কিংবা বিভাজন টেনে, কি বোঝাতে চাইছেন মাননীয়া?
প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য তেমন কোনও ইস্যু নেই। ফলে যা ইচ্ছে তাই'ই আজ বাংলার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, বাংলার মানুষ এত বোকা নয় আর আপনার অনুপ্রেরণায় ও চলবে না। আপনার নিন্ম মানসিকতার রাজনীতি সবাই ধরে ফেলেছে,এবার আপনার বিদায়ের পালা। আপনি তৈরি থাকুন, ২০২১ সাল আপনার জন্য নয়।' এমনটাই বললেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
তিনি বলেন, সর্বভারতীয় নেতা-নেত্রীদের গায়ে বহিরাগত তকমার বুলি আউড়ে রাজ্যবাসীকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন, তাদের দলটি বর্তমানে যিনি চালাচ্ছেন অর্থাৎ ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর তিনি কোথাকার? যাকে কয়েকশো কোটি টাকায় ভাড়া করে দলের শীর্ষে বসানো হয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোরই তো বহিরাগত! এই প্রশ্নের উত্তর আগে দিন, তারপর বিরোধীদের দিকে আঙ্গুল তুলবেন, এই বার্তা তৃণমূলীদের উদ্দেশ্যে।
বাংলার ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহরুখ খান... কোথাকার? সে কি পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক? দিদিমনির কথা অনুযায়ী, বাংলায় কি এমন প্রতিভাবান কেউ ছিলেন না যে বাইরে থেকে অন রাজ্যের একজনকে তুলে বাংলার ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে হল? রাজ্যে প্রশাসনিক পদে আসীন অধিকাংশ আইএএস কিংবা আইপিএস অফিসারই তো অবাঙ্গালী এবং অন্য রাজ্যের, তাহলে তাদের সম্পর্কে কী বলবেন মাননীয়া এবং তার দলের সাঙ্গপাঙ্গরা। প্রসঙ্গত বাংলার যুবরাজের স্ত্রীও তো শুনেছি বহিরাগত, তাহলে কি শুধু বিজেপির ক্ষেত্রেই এই অসুবিধা?