নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে জেরা NIA
গত কয়েকদিন আগে নিমতিতার ঘটনা সামনে আসে! বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর শরীর। কার্যত আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
গত কয়েকদিন আগে নিমতিতার ঘটনা সামনে আসে! বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর শরীর। কার্যত আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে জেএমবি জঙ্গি যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা তদন্তকারী আধিকারিকদের। এমনকি, এই ঘটনায় যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে আইইডির মতো কোনও শক্তিশালী বিস্ফোরক বলেও ধারণা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ! আর তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে জেরা
নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সুতির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে জেরা করল এনআইএ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাটির গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে ইমানি বিশ্বাসের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। দুজনেই তৃণমূলের এলাকার প্রভাবশালী নেতা হলেও গোষ্ঠী দন্দ রয়েছে দুজনের মধ্যে। পুরনো শত্রুতার জেরেই মন্ত্রী জাকির হোসেনকে খুনের ছক! মনে করছে এনআইএ। তবে প্রার্থীকে জেরা করে কিছু তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
নিমতিতা কাণ্ডে এনআইএ
নিমতিতার বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ইতিমধ্যেই তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আসত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। আলাদা করে সিট গঠন করেছে মমতা সরকার। তার পরেও বিজেপি এনআইএ-র দাবি জানিয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন রাজ্য চাইলে এনআইএ তদন্ত হতে পারে।
নিমতিতা কাণ্ডে পুলিশের জালে দুই
নিমতিতা কাণ্ডে কয়েকদিন আগেই এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে আবু সামাদ ও সইদুল ইসলাম নামে আরও দু'জনকেও গ্রেফতার করা হয়। সুতির বাসিন্দা সইদুলকে জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবি করে সিআইডি। তদন্তকারী সূত্রে খবর, ধৃত সইদুল দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। বোমা তৈরিতে পারদর্শী সে। খোদ জাকির হোসেন একাধিকবার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই কারণে সুতির বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ সময়ই ভিন রাজ্যে কাটাতে হতো তাকে। সেই কারণে তৈরি হয়েছিল আক্রোশ। এরপরই জাকির হোসেনকে খুনের ছক কষে সে! তৈরি করে বোমা। নির্দিষ্ট সময়ে তা ব্যাগে ভরে পৌঁছে দেয় নিমতিতা স্টেশনে। মন্ত্রীকে হত্যার জন্য বোমা তৈরিতে কে সাহায্য করেছিল সইদুলকে? এত শক্তিশালী বোমা কীভাবে তৈরি হল? এর পিছন বিদেশি জঙ্গি জোগ রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে এনআইএ। আর সেই কারণেই তদন্তের আরও গভীরে যাচ্ছেন এনআইএ তদন্তকারী আধিকারিকরা।