অধীর গড়ে ঘুরবে খেলা! গুরুর হাতে জেলা পরিষদ তুলে পাপস্খলনের বার্তা শিষ্যর
কংগ্রেসে ফিরেই তৃণমূল পরিষদ ফিরিয়ে দেওয়ার বার্তা মোশারফ হোসেনের। শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলে গিয়েছিলেন মোশারফ হোসেন। ৪২ জন কংগ্রেস নেতৃত্বকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দলবদলে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ চলে যায় তৃণমূলের হ
ভোটের আগে শক্তিবৃদ্ধি কংগ্রেসের। জল্পনা সত্যি করে অধীরের হাত ধরলেন মোশারফ হোসেন। বহিষ্কারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কংগ্রেসে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তাঁর দলবদলে ভোটের আগে অবশ্যই বাড়তি অক্সিজেন পেল প্রদেশ কংগ্রেস। আর দলবদল করেই মোশারফের হুঁশিয়ারি, কংগ্রেসকে ফের শক্তিশালী করা হবে। অন্তত অধীর গড়ে তৃণমূল সংখ্যালঘু হবে বলে সুর চড়ান অধীর ঘনিষ্ঠ মোশারফ।
কংগ্রেসে ফিরেই জেলা পরিষদ ফিরিয়ে দেওয়ার বার্তা অনুগামীর মুখে
কংগ্রেসে ফিরেই তৃণমূল পরিষদ ফিরিয়ে দেওয়ার বার্তা মোশারফ হোসেনের। শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূলে গিয়েছিলেন মোশারফ হোসেন। ৪২ জন কংগ্রেস নেতৃত্বকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দলবদলে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ চলে যায় তৃণমূলের হাতে। আর সেই পরিষদ ফের একবার গুরুকে ফিরিয়ে দেওয়ার বার্তা শিষ্যর। মোশারফের দাবি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেবেন। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ চলে আসবে কংগ্রেসের দখলে। যদিও আজ শুক্রবার মোশারফের হাত ধরে জেলা পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য এদিন কংগ্রেস শিবিরের 'হাত' শক্ত করলেন।
অধীর চৌধুরীর হাত ধরে মোশারফ হোসেনের রাজনীতিতে প্রবেশ
অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন মোশারফ। কিন্তু ধীরে ধীরে কিছুটা কংগ্রেসে কোনঠাসা হয়ে পড়েন মোশরফ। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ। একাধিক কংগ্রেস নেতাকে সঙ্গে নিয়ে দলবদল করেন মোশারফ হোসেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচিত হয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদে বসেন মোশারফ। সম্প্রতি তাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। আর এরপরেই তাঁকে নিয়ে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়। শুভেন্দুর হাত ধরে কি বিজেপিতে যাবেন? তৈরি হয় বিতর্ক। যদিও শেষমেশ রাজনৈতিক গুরুর কাছেই ফিরলেন মোশারফ।
জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে পদ থেকে অপসারিত করা যায় না
দল বহিষ্কার করলেও এখনই মোশারফ হোসেনকে সরাতে পারবে দল। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, আড়াই বছরের মধ্যে জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে পদ থেকে অপসারিত করা যায় না। ফলে এই মুহূর্তে তাঁকে সরাতে পারবে না শাসক দল তৃণমূল। যদিও চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মেয়াদ পূর্ণ হবে মোশারফ হোসেনের। আর সেই সময় তাঁকে জেলা পরিষদের পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। কিন্তু তার আগেই ফিরলেন কংগ্রেসে। শুধু ফেরা নয়, জেলা পরিষদের সমস্ত সদস্যকে নিয়ে আসতে চলেছেন তিনি।