প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রত্যাহার দলেরই নেত্রীর! অধীরের চিঠি মমতাকে
প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রত্যাহার দলেরই নেত্রীর! অধীরের চিঠি মমতাকে
শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেন রানিনগরের এক তৃণমূল নেত্রী। এর আগে রানিনগরের ব্লক তৃণমূল নেতা শাহ আলম সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই নেত্রী। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লেখেন বহরমপুরের সাংসদ তথা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ
মুর্শিদাবাদের
রানিনগর
ব্লক
তৃণমূল
নেতা
শাহ
আলম
সরকারের
বিরুদ্ধে
ধর্ষণের
লিখিত
অভিযোগ
দায়ের
করেছিলেন
ওই
ব্লকেরই
তৃণমূল
কংগ্রেসের
সভানেত্রী।
জেলা
পুলিশের
শীর্ষ
আধিকারিকের
কাছে
লিখিত
অভিযোগ
জমা
দিয়েছিলেন
তিনি।
অভিযোগ
পেয়ে
তদন্তও
শুরু
করে
পুলিশ।
পঞ্চায়েত
সমিতির
অফিসেই
কাণ্ড
তৃণমূলের
ব্লক
সভানেত্রীর
করা
অভিযোগ
অনুযায়ী,
গত
৯
অগাস্ট
পঞ্চায়েত
সমিতির
অফিসের
দোতলায়
তাঁর
ওপরে
শারীরিক
নির্যাতন
করেন
তৃণমূল
নেতা
শাহ
আলম
সরকার।
পঞ্চায়েত
সমিতির
অফিসেই
তাঁকে
ধর্ষণ
করা
হয়
বলে
অভিযোগ
করেছিলেন
ওই
নেত্রী।
শুধু
তিনিই
নন,
একাধিক
মহিলার
ওপরে
শারীরিক
নির্যাতন
চালিয়েছেন
ওই
নেতা,
নিজের
অভিযোগ
পত্রে
এমনই
অভিযোগ
করেছিলেন
ওই
নেত্রী।
তাঁর
আরও
অভিযোগ,
পুরো
বিষয়টি
পুলিশকে
জানাতে
গেলে,
তাঁকে
হোয়াটসঅ্যাপ
কল
করে
হুমকি
দেওয়া
হয়।
অভিযোগ মিথ্যা
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শাহ আলম সরকার। তিনি দাবি করেছেন, পুরো বিষয়টি সাজানো। কেননা ৯ অগাস্ট পঞ্চায়েত সমিতির অফিস বন্ধ ছিল। তিনিও সেদিন এলাকায় ছিলেন না বলে দাবি করেছেন ওই নেতা। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির পুরো অফিসেই সিসিটিভি রয়েছে। ফলে তদন্ত করলেও পুরো বিষয়টি সামনে আসবে বলে পাল্টা দাবি করেছিলেন ওই নেতা।
অধীরের চিঠি মমতাকে
বেলা এনিয়ে শোরগোল শুরু হতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অভিযোগকারিণী
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী ব্লক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তার কাছে করা লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। চাপের মুখে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন বলে দাবি বিরোধীদের। পাশাপাশি বিষয়টিকে গোষ্ঠী কোন্দলের উদাহরণ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে। অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানোর পাশাপাশি দুজনের সঙ্গেই কথা বলার কথা জানানো হয়েছে।
প্রাথমিকে আরও ২২ জনকে চাকরির নির্দেশ হাইকোর্টের, কি জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়