কেতুগ্রাম কাণ্ডে অবশেষে পুলিশের জাল ভাড়াটে দুই খুনি, মুর্শিবাদের তালডাঙা থেকে গ্রেফতার
কেতুগ্রাম কাণ্ডে অবশেষে পুলিশের জাল ভাড়াটে দুই খুনি, মুর্শিবাদের তালডাঙা থেকে গ্রেফতার
রেণু খাতুনের কবজি কাটায় যে দুই ভাড়াটে খুিনকে টাকা দিয়েছিল শের মহম্মদ তাঁদের গ্রেফতার করল পুলিশ। মুর্শিদাবাদের তালডাঙা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই খুনির নাম হাবিব শেখ এবং আশরাফ আলি শেখ। ঘটনার পর তালডাঙার বাড়িতে লুকিয়ে ছিল তারা। শের মহম্মদকে জেরা করে তাদের সন্ধান পায় পুলিশ।
গ্রেফতার দুই ভাড়াটে খুনি
কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের কবজি কাটার ঘটনায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেছিল তার স্বামী শের মহম্মদ। এমনই জানতে পেরেছিল পুিলশ। শের মহম্মদকে গত পরশু গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে দুই ভাড়াটে খুনির সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তারপরেই মুর্শিদাবাদের তালডাঙা থেকে হাবিব শেখ এবং আশরাফ আলি শেখ নামে দুই জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা ঘটনার পর বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। দুই খুনিকে গ্রেফতার করে জেরা করতে শুরু করতে শুরু করে পুলিশ।
পরিকল্পনা মাফিক কাজ
রেণু খাতুনের স্বামীকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকরত তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তদন্তকারীদের। স্ত্রী রেণু খাতুন সরকারি চাকরি পাওয়ার পর থেকেই রাগে ফুঁসছিলেন শের মহম্মদ। স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় পরিকল্পনা করেছিল সে। যাতে তার সরকারি চাকরি না থাকে সেকারণে সুনিপুন পরিকল্পনা করেছিল শের মহম্মদ। দুই ভাড়াটে খুনিকে টাকা দিতে স্ত্রীর কবজি কেটে নেওয়ার কথা বলেছিল। স্ত্রী রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর দুই ভাড়াটে খুনিকে নিয়ে ঘরে ঢোকে সে। তারপরে স্ত্রীর ডান হাতের কবজি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে তারা। রেণু চিৎকার যাতে কেউ শুনতে না পায় সেকারণে মুখে বালিশ চাপা দিয়েছিল সে। তারপরেই ঘর থেকে পালিয়ে যায় তারা।
শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেফতার
রেণু খাতুনের ঘটনায় তার শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুিলশ। এই ঘটনায় তাদের কোনও হাত রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেণুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে উদ্ধার করে তাকে। তারপরে তাঁকে প্রথমে দুর্গাপুরে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু রেণুর হাত জোড়া লাগেনি। রেণুর ডান হাত কবজি থেকে কাটা গিয়েছে। কিন্তু লড়াই থামাতে রাজি নয় সে। বাম হাতেই লেখা শুরু করেছে বধূ।
চাকরি পাকা
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে রেনুর চাকরি পাকা করার কথা ঘোষণা করেছে। তিনি জানিেয়ছেন ডান হাতের কবজি না থাকলেও রেনু কাজ পাবেন। যে কাজ তাঁর পক্ষে উপযুক্ত হবে সেই কাজই তাঁকে দেয়া হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নার্সিং স্টাফের চাকরি পেয়েছিলেন রেণু। তারপরেই তাঁর স্বামী তাঁর ডান হাতের কবজি কেটে নেন। তাতে রেনুর সরকারি চাকরি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কিছুটা হলেও মনে বল পেয়েছেন রেণু খাতুন।
বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মৌন কেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস