Tokyo Olympics : পোল্যান্ড পৌঁছে হাঁফ ছাড়লেন বেলারুশের ক্রিস্টিনা, বাঁচাল গুগল ট্রান্সলেট!
Tokyo Olympics : পোল্যান্ড পৌঁছে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বেলারুশের ক্রিস্টিনা, বাঁচাল গুগল ট্রান্সলেট!
বিতর্ক, আতঙ্ক এবং আশঙ্কার আবহে পোল্যান্ড পৌঁছে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বেলারুশের স্প্রিন্টার ক্রিস্টিনা তিমানোভাস্কায়া। জানালেন যে এ যাত্রায় তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন গুগল ট্রান্সলেট। বিপদে পড়ে নিজের করুণ আকুতি জাপানি ভাষায় অনুবাদ করে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসনের তরফে তিনি সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিনা। অন্যথায় তিনি টোকিওয় নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছিলেন বলেও জানিয়েছেন ক্রিস্টিনা।
ইউরোপীয়ন গেমসে রুপোজয়ী ক্রিস্টিনা ক্রিস্টিনা তিমানোভাস্কায়া টোকিও অলিম্পিকের ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ইভেন্টে বেলারুশের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ইভেন্টে তিনি খুব একটা সাড়া জাগাতে না পারলেও বিতর্কে নিজের নাম জড়িয়ে ফেলেন বেলারুশের অ্যাখলিট। সরাসরি নিজের দেশের অলিম্পিক কমিটির বিরুদ্ধেই মুখ খোলেন ক্রিস্টিনা। জানান যে কোনও কথাবার্তা ছাড়াই তাঁর নাম টোকিও গেমসের ৪x৪০০ মিটার রিলে রেসেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন ক্রিস্টিনা। ফলস্বরূপ তাঁকে জোর করে বেলারুশে ফেরত পাঠানোর তোরজোর শুরু হয় বলে অভিযোগ। গত ১ অগাস্ট বেলারুশের অ্যাথলিটকে জোর করে জাপানের হানেদা এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেখানে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ক্রিস্টিনা। ঠিক সেই সময়ই নিজেকে বাঁচাতে নিজের কথা গুগলে জাপানি ভাষায় অনুবাদ করে তা সংশ্লিষ্ট দেশের প্রশাসনকে তিনি জানান।
ক্রিস্টিনার বার্তা পড়ে তৎপর হয়ে ওঠে জাপান প্রশাসন। বেলারুশের অ্যাথলিটকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া ক্রিস্টিনার নিজেরই দলের থেকে। বেলারুশের অ্যাথলিটের সহায়তায় এগিয়ে আসে পোল্যান্ড। ক্রিস্টিনাকে হিউম্যানিটেরিয়ান ভিসা দেয় ওই দেশ। যার মাধ্যমে গত ৪ অগাস্ট অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা হয়ে ওয়ারশো পৌঁছন ক্রিস্টিনা। আপাতত সেখানেই রয়েছেন। ক্রিস্টিনার প্রত্যার্পন নিয়ে বেলারুশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছে পোল্যান্ড সরকার।
পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন ক্রিস্টিনা। জাপান ও পোল্যান্ড সরকারকে তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গুগলের প্রতিও নিজের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন বেলারুশের অ্যাথলিট। ট্রান্সেলটরে ভাষা অনুবাদ করতে পারার জন্যই এ যাত্রায় তিনি বেঁচে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিনা। তবে দেশে ফিরতেও মরিয়া হয়ে গিয়েছেন বেলারুশের অ্যাথলিট।
এই ঘটনা টোকিও অলিম্পিকের মসৃণ গতিময়তাকে যে কিছুটা হলেও বাধাদান করেছে, তা মেনে নিচ্ছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। বেলারুশের অ্যাথলিটের অভিযোগ সত্যি হলে ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করে বিশ্ব ক্রীড়া মহলের একটা অংশ।