Tokyo Olympics : মহিলাদের জ্যাভেলিন থ্রো-র ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ ভারতের অন্নু
Tokyo Olympics : মহিলাদের জ্যাভেলিন থ্রো-র ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ ভারতের অন্নু
টোকিও অলিম্পিকের অ্যাথলেটিক্সে একে একে হার মানছেন ভারতীয়রা। এবার মহিলাদের জ্যাভেলিন থ্রো ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন অন্নু রানি। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১৪তম স্থান হাসিল করতে সক্ষম হয়েছেন। সর্বোচ্চ ৫৪.০৪ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুঁড়তে সক্ষম হয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিট। তাতে হতাশই হয়েছেন দেশের ক্রীড়া প্রেমীরা।
মঙ্গলবার মহিলাদের জ্যাভেলিন থ্রো-র এ গ্রুপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে অংশ নিয়েছিলেন অন্নু রানি। ১৫ অ্যাথলিটের ওই প্রতিযোগিতায় তাঁকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়। তারই মধ্যে অন্নুর প্রথম থ্রো ৫০.৩৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নিজের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটান অন্নু। যদিও ৫৩.১৯ মিটার দূরত্বের বেশি ছুঁড়তে পারেননি জ্যাভেলিন। তৃতীয় প্রচেষ্টায় ভারতীয় অ্যাথলিটের থেকে সেরাটা আশা করা হলেও তিনি হতাশই করেন। ৫৪.০৪ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুঁড়ে ১৪তম স্থানে যোগ্যতা অর্জন পর্বে অভিযান শেষ করেন অন্নু। ৬৫.২৪ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন এ গ্রপে প্রথম হওয়া মারিয়া আন্দ্রেজচেইক ফাইনালে পৌঁছেছেন।
উল্লেখ্য মহিলাদের জ্যাভলিন থ্রো-তে জাতীয় রেকর্ড রয়েছে অন্নু রানির ঝুলিতে। চলতি বছরই পাতিয়ালায় অনুষ্ঠিত হওয়া ইন্ডিয়ান গ্রাঁ পি-কে ৬৩.২৪ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুঁড়েছিলেন ভারতীয় অ্যাথলিট। ওই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি টোকিও অলিম্পিকের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করেছিলেন। এশিয়ান গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে রূপো ও ব্রোঞ্জ পদকজয়ী অন্নু রানির কাছ থেকে টোকিও গেমসে লড়াই আশা করেছিলেন দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। তা না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন অনেকে।
এর আগে চলতি অলিম্পিকে মহিলাদের ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হন ভারতের দ্যুতি চাঁদ। ডিসকাস থ্রো-র ফাইনাল পৌঁছলেও ষষ্ঠ স্থানে প্রতিযোগিতা শেষ করেন কমলপ্রীত কৌর। সোমবারের ফাইনালে প্রথম প্রচেষ্টায় ৬১.৬২ মিটার দূরত্বে ডিসকাস ছোঁড়েন কমলপ্রীত। তাঁর দ্বিতীয় প্রচেষ্টা নামঞ্জুর হয়ে যায়। তৃতীয় প্রচেষ্টায় ৬৩.৭০ মিটার দূরত্বে ডিসকাস ছোঁড়েন ভারতীয় অ্যাথিলট। তাঁর অবশিষ্ট দুই প্রচেষ্টা থেকে ক্রীড়াপ্রেমীরা ভাল কিছু আশা করলেও দুই ক্ষেত্রেও তাঁর থ্রো নামঞ্জুর হয়। ফলে ষষ্ঠ স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করেন কমলপ্রীত।
কেরিয়ারের প্রথম অলিম্পিকেই ক্রীড়া বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন কমলপ্রীত। মহিলাদের ডিসকাস থ্রো ইভেন্টের দুটি কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড মিলিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন ২৫ বছরের ভারতীয় অ্যাথলিট। ৬৪ মিটার দূরত্বে লোহার চাকতি ছুঁড়ে ইভেন্টের দ্বিতীয় প্রতিযোগি হিসেবে সরাসরি ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন কমলপ্রীত।