কিংবদন্তি মিলখা সিংয়ের জীবনের যে অজানা পাঁচ তথ্য জেনে নেওয়া দরকার
কিংবদন্তি মিলখা সিং সম্পর্কে অজানা সাত তথ্য জেনে নেওয়া দরকার
এক চুলের জন্য অলিম্পিক্স থেকে পদক আনতে ব্যর্থ হওয়া মিলখা সিং এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমসে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছিলেন। তাঁর নজির প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত। যে পথ মিলখার জন্য কখনওই মসৃণ ছিল না। তবু কাঁটা দলে রক্তাক্ত পায়ে শীর্ষে পৌঁছলো কিংবদন্তি অ্যাথলিটের জীবন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক এক পাঁচ তথ্য, যা এতদিন ছিল অজানা।
আর্থিক অনটন
আর্থিক অনটন এবং অবস্থার প্রেক্ষাপটে শৈশবে দস্যু হওয়ার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন মিলখা সিং। যার উল্লেখ কিংবদন্তির জীবনী এবং তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া রাকেশে ওমপ্রকাশ মেহেরার সিনেমাতেও পাওয়া যায়। তবে সেখান থেকেই ভাগ্য ফিরে যায় মিলখার। তাঁর জীবনও অন্য খাতে বইতে শুরু করে।
Recommended Video
ভারতীয় সেনায় চাকরি
১৯৪৯ সালে প্রথমবার ভারতীয় সেনায় ভর্তির পরীক্ষা দিয়েছিলেন মিলখা সিং। সেবার তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালেও ব্যর্থ হয়েছিল তাঁর চেষ্টা। এরপর রবার কারখানায় কাজ করতে শুরু করেছিলেন মিলখা। অনেক কষ্ট করে ১৯৫২ সালে ভারতীয় সেনায় চাকরি পেয়েছিলেন কিংবদন্তি। শুরুতে ৩৯ টাকা ৮ আনা বেতন পেতন প্রয়াত অ্যাথলিট।
ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড
১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ট্র্যাকে নেমেছিলেন মিলখা সিং। সেবার প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। ১৯৫৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের পরই তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ উর্ধ্বমুখে যেতে শুরু করেছিল। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সের ৪০০ মিটার ইভেন্ট চতুর্থ হয়ে নিজের জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন মিলখা।
বিনা টিকিটে ট্রেন যাত্রা
টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠার জন্য তিহার জেলেও থাকতে হয়েছিল মিলখা সিংকে। নিজের গয়না বিক্রি করে ভাইকে ছাড়িয়েছিলেন কিংবদন্তি অ্যাথলিটের দিদি। সেখান থেকেই আলোয় ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল কিংবদন্তির।
জীবনে প্রাপ্ত সম্মান
নিজের জীবনে অর্জন করা সব মেডেল, ট্রফি এবং সম্মান দান করে দিয়েছেন মিলখা সিং। সেগুলি পাতিয়ালার স্পোর্টস মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে।